AB Bank
ঢাকা বুধবার, ২২ মে, ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

শিংয়ের ভিতর যত মন্ত্র!


Ekushey Sangbad
চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি
০৪:১২ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
শিংয়ের ভিতর যত মন্ত্র!

তথ্য প্রযুক্তির আধুনিক এই যুগে বাইধ্যানির এমন আধ্মাতিক চিকিৎসাতো একটু অবাক করার মতই বটে। গরু মহিষের শিংয়ে তুলা লাগিয়ে মন্ত্র পড়ে সেই তুলা ব্যবহার করা হচ্ছে চিকিৎসার মাধ্যম হিসেবে।

 

আবার কখনো পিতলের গরু মার্কা শিং দিয়ে ঝারফুকের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা। গাছের আকাবাকা ঢালে সরিষার তেল মেখে মন্ত্র পড়ে দিচ্ছে রোগীর মাথায়, আর এই সবই হচ্ছে চিকিৎসা! তবে সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো এমন চিকিৎসা নিতেও হুমড়ি খেয়ে পড়ছে এক শ্রেনীর মানুষ। চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট থানার মাঝিরঘাটে কর্নফুলীর তীরে এমন এক আজব চিকিৎসার ফুটেজ উঠে এসেছে একুশে সংবাদ.কম এর ক্যামেরায়।

 

গ্রামাঞ্চলে এমন চিকিৎসার প্রচলন বেশী থাকলেও শহরাঞ্চলে একেবারেই নেই বললেই চলে। জানা যায়, এ জাতীয় বাইধ্যানি নারীরা দাত ব্যাথা, মাঝা ব্যাথা থেকে শুরু করে প্রায় সব রোগের চিকিৎসা দিয়ে থাকে। তবে তাদের মতে তারা জাদু টোনা, বান টোনা, জীনে ধরা নামক এসব আজব রোগেরও নাকি চিকিৎসা করে। আর এ চিকিৎসার খরচের মধ্যেও আছে একটু ব্যতিক্রম। যেমন, রোগীর আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে খরচ নেওয়া হয়। ১০০ টাকা থেকে শুরু করে পাচশ টাকা কিংবা হাজার থেকে পাচ হাজার টাকাও খরচ করতে হয় এই চিকিৎসায়।

 

নাসরিন আক্তার নামক বাইধ্যানি নারী বলেন, সিংয়ে ফু দিয়ে মাত্র ৫ মিনিটে ব্যাথা ভালো করে দিই। কম খরচে ভালো চিকিৎসা দেই বলেই লোকে আমাদের বিশ্বাস করে। তবে আজব এই জাতীয় চিকিৎসকের রোগীদের বেশীরভাগই অবশ্য নিন্ম আয়ের মানুষ। রিক্সাওয়ালা, ভ্যান চালক কিংবা দিনমজুররাই এমন চিকিৎসায় বেশী বিশ্বাস করে থাকেন। তাদের মতে, কেউ কেউ নাকি রোগ থেকে ভালো হয়েছেন এমন চিকিৎসা নিয়ে। যদিও চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় তন্ত্রমন্ত্র শুধুই  একটি নিছক কুসংস্কার।

 

চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ তাপস দাস বলেন, এমন অনেক নিউজ আগে দেখেছি। ওদের এই চিকিৎসা মাধ্যমটি শুধু চোখে ধুলো দেওয়া। এতে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষরা একদিকে প্রতারিত হচ্ছে অপরদিকে আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে তাদের।

 

সচেতন মহলের দাবী, সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা গেলেই কেবলমাত্র এমন কুসংস্কার থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে।

 

একুশে সংবাদ/রা.হো.প্রতি/এসএপি

Link copied!