এখনও বহু প্রবীণ মানুষ রয়েছেন, যাঁদের সমাজকে অনেক কিছু দেওয়ার আছে। তাঁরা বয়সের ভারে ক্লান্তও হয়ে পড়েননি। কিন্তু, সমাজের চিত্রটা এখন অনেক পাল্টে গিয়েছে। যা থেকে তাঁদের জীবনে একটা শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে।
তেমনি এক বৃদ্ধ তার জীবনের কথাগুলো আমাদের কাছে তুলে ধরছে, কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের সুন্দ্রাহবী ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আকাব্বর আলী। স্ত্রী, ২ ছেলে ১ মেয়ে নিয়ে তার সংসার জীবনের ২০টি বছর ভালো ভাবেই অতিবাহিত হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ তার বার্ধক্যজনিত কারণে মানসিক সমস্যা হওয়ার কারনে বিগত ৫ বছর আগে একা ফেলে রেখে চলে যান স্ত্রী সন্তানরা।
এখন বৃদ্ধ আকাব্বর আলীর জীবন চলে খুব দুর্দশায়,খাস জমির উপর অন্যের করে দেওয়া একচালা একটি ঘরে প্রতিটি রাত কাটে নিঃশব্দ ভাবে। তার একটি মাত্র পেট তাও চলে, হাট-বাজারে গিয়ে মানুষের সবজি,পিয়াচ রসুন ইত্যাদি পচা অংশ বেছে যতটুকু তার মধ্যে ভালো অংশ থাকে এবং মানুষের দাঁড়ে দাঁড়ে ভিক্ষা করে। ভিক্ষা শেষে তার একচালা ঘরে এসে নিজেকেই রান্না করে খেতে হয় প্রতিনিয়ত,নেই তেল,লবণ নিত্যদিনের খাবার সমূহ তবুও একটি মাত্র পেট চলার জন্য প্রতিনিয়ত মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়।
বৃদ্ধ আকাব্বর আলী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা মাবতার কন্যা, সমাজে অবহেলিত বৃদ্ধ অসচ্ছল প্রতিবন্ধী সকলের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি যদি এই অসহায়ের এর দিকে একটু সদয় হোন তাহলে হয়তো বাকি জীবনটা সুন্দর করে কাটিয়ে দিতে পারবো।
একুশে সংবাদ/রন/ব
আপনার মতামত লিখুন :