ছবিটি নির্মাণ করেছিলেন পরিচালক জেমস ক্যামেরন। এতদিন ছবিতে জ্যাকের মৃত্যুকে ঘিরে নানা অভিযোগ উঠেছে এই নির্মাতার বিরুদ্ধে। অনেকেই বলেছেন, জ্যাক (লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও) চরিত্রের প্রতি নির্মমতা প্রকাশ করেছেন তিনি।
তবে অভিযোগ শুনে এত দিন চুপ থাকলেও সম্প্রতি মুখ খুলেছেন পরচালক। এত বছর পর, তার মধ্যেও হয়ত আফসোস দেখা দিয়েছে জ্যাকের মৃত্যু নিয়ে।
এক অনুষ্ঠানে তিনি স্বীকার করেন, সে রাতে বেঁচে যেতে পারত জ্যাক। সামুদ্রিক দুর্ঘটনার মোকাবিলা করা যেত হয়তো। রোজ (কেট উইন্সলেট) যে ভাঙা দরজার পাল্লায় ভোর দিয়ে সমুদ্রে ভাসছিলেন, তার উপর চড়লেই যে জ্যাক বেঁচে যেতো, সেটা ছাড়াও অন্য উপায় ছিল জ্যাকে বাঁচানোর।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফির ‘টাইটানিক: ২৫ ইয়ারস লেটার উইথ জেমস ক্যামেরন’-এ পুরনো বিতর্কটিই বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে পুনর্বিবেচনা করেছেন। আর এই নতুন তথ্যচিত্রই এই ভাবনার জন্ম দিয়েছে ক্যামেরনের মনে।
বিজ্ঞানীদের একটি দল ও দু’জন স্টান্ট পারফর্মারের সঙ্গে কাজ করে, ক্যামেরন টাইটানিক ডুবে যাওয়ার রাতে আসলে কি কি হতে পারত সেই সম্ভাবনা খতিয়ে দেখেছেন তারা।
যদিও জ্যাককে এমন ভাবে বাঁচিয়ে রাখা কঠিন ছিল বলেই জানান ক্যামেরন। তিনি বলেন, জ্যাকের মৃত্যুর কারণ লুকিয়ে ছিল চরিত্রের মনোভাব প্রকাশেই। তাই জ্যাক এমন কোনও কাজ করতেই পারে না যাতে রোজ এতটুকুও সমস্যায় পড়ে। তার চেয়ে মৃত্যুই তার কাছে অনেক স্বস্তির ছিল। এই বৈশিষ্ট্য সেই চরিত্রে শতভাগ তুলে ধরা হয়েছিল।
একুশে সংবাদ.কম/আ.ট.প্র/জাহাঙ্গীর
আপনার মতামত লিখুন :