বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ে প্রায় ৪১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ প্রকাশ করেছে এনটিআরসিএ। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে সচিবালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এক লাখের বেশি শূন্যপদের বিপরীতে যোগ্যতার ভিত্তিতে ৪১ হাজার ৬২৭ জন প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ই-রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে চাহিদা সংগ্রহ ও যোগ্যতা যাচাইয়ের প্রতিটি ধাপ আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।
আবরার বলেন, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় প্রায় ১৮ লাখ ৬৫ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন। এর মধ্যে প্রিলিমিনারিতে অংশ নেন ১৩ লাখের বেশি এবং উত্তীর্ণ হন প্রায় সাড়ে চার লাখ। লিখিত পরীক্ষায় বসেন সাড়ে তিন লাখ প্রার্থী, যেখানে উত্তীর্ণ হন ৮৩ হাজারেরও বেশি। শেষ ধাপে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সফল হন ৬০ হাজারের বেশি প্রার্থী। তাদের মধ্য থেকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন প্রায় ৪১ হাজার জন।
ফলাফল জানা যাবে এনটিআরসিএর ওয়েবসাইট ও ngi.teletalk.com.bd-এ ‘ষষ্ঠ নিয়োগ সুপারিশ বিজ্ঞপ্তি-২০২৫’ সেবা বক্সে। নির্বাচিত প্রার্থীরা নিজস্ব ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেও ফলাফল দেখতে পারবেন।
নির্বাচিতদের নিয়োগপত্র ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদান করা হবে। নিয়োগপত্র পাওয়ার সাত কার্যদিবসের মধ্যে যোগদান করতে হবে প্রার্থীদের। নির্ধারিত সময়ে যোগদান না করলে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিয়োগপত্র দেওয়ার আগে প্রার্থীর সনদ যাচাইয়ের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন বাধ্যতামূলক। তবে শূন্যপদের তথ্য বিভ্রাট, ভুয়া কাগজপত্র, কিংবা পুলিশ ভেরিফিকেশনে অযোগ্য প্রমাণিত হলে নিয়োগ বাতিল হয়ে যাবে।
প্রার্থীর যোগদান নিশ্চিত হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানপ্রধানকে ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘Joining Status’ অপশনে তথ্য আপডেট করতে হবে।
একুশে সংবাদ/স.ট/এ.জে