AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

এসএসসি পরীক্ষা শুরু, কমেছে পরীক্ষার্থী


Ekushey Sangbad
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
১১:৫১ এএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
এসএসসি পরীক্ষা শুরু, কমেছে পরীক্ষার্থী

বাংলা প্রথমপত্র দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এদিন সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত সারাদেশের তিন হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসবে প্রায় সোয়া ২০ লাখ পরীক্ষার্থী। তবে গত বছরের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় অর্ধলাখ।

এদিকে প্রতি বছর শিক্ষামন্ত্রী এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করে থাকেন। তবে এবার তা করবেন না শিক্ষা মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ বিবেচনায় নিয়ে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে মন্ত্রী জানান, তিনি মনে করেন কেন্দ্র পরিদর্শনের কারণে পরীক্ষার্থীরা হয়রানিমূলক পরিস্থিতি, মানসিক যন্ত্রণায় পড়েন। একই সঙ্গে জনদুর্ভোগেরও সৃষ্টি হয়।

মন্ত্রী জানান, পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীরা এমনিতেই একটা ট্রমার মধ্যে থাকে। কেন্দ্র পরিদর্শনের নামে ব্যাপক জনসমাগম এ মানসিক চাপ আরও বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশে বিঘ্ন ঘটে।

মহিবুল হাসান চৌধুরী আরও বলেন, আইন অনুযায়ী কেন্দ্র পরিদর্শক ছাড়া অন্য কারও কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি নেই। তাই পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ যেন পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ না করেন সে বিষয়ে সবার সচেতন থাকা উচিত।

গত বছর এ পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করেছিল ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন। সেই হিসাবে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে ৪৭ হাজার ৯৭১ জন। এ বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। পরীক্ষার্থী কমায় এবার কেন্দ্র সংখ্যাও কমেছে। গত বছর তিন হাজার ৮১০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়। এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৭০০টিতে।

মহামারি করোনাভাইরাসের ধাক্কা সামলিয়ে এবার পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে পরীক্ষা হচ্ছে। শিক্ষকরা বলছেন, এবার পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে পরীক্ষা হলেও শিক্ষার্থীদের খুব একটা সমস্যা হবে না। এবার যারা এসএসসিতে অংশ নিচ্ছে, তারা নবম শ্রেণিতে উঠেছিল ২০২২ সালে। ওই সময় বছরের শুরুতে কয়েক সপ্তাহ স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছিল। তারপর স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চলেছে। ফলে শিখন ঘাটতি থাকছে না।

২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে করোনার কারণে দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওই বছর এসএসসি পরীক্ষা শেষ করা সম্ভব হলেও আটকে যায় এইচএসসি। বাধ্য হয়ে এইচএসসিতে ‘অটো পাস’ দেওয়া হয়। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে ২০২১ সালের নভেম্বরে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হয়। ওই বছর শুধু তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে তত্ত্বীয় পরীক্ষা নেওয়া হয়।

এরপর ২০২২ ও ২০২৩ সালেও পুনর্বিন্যাস করা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি পরীক্ষা হয়। ২০২২ সালে এসএসসিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিতের মতো আবশ্যিক বিষয়েও পরীক্ষা হয়। তবে বিভাগভেদে অন্তত তিনটি বিষয়ের ওপর পরীক্ষা হয়নি। আর সর্বশেষ ২০২৩ সালে সব বিষয়ের ওপর পরীক্ষা হলেও সিলেবাস ছিল সংক্ষিপ্ত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানীর ধানমন্ডির গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন তালুকদার বলেন, ‘এবার এসএসসি পরীক্ষার্থীরা পুরোদমে ক্লাস পেয়েছে। ঘাটতি পূরণে বিভিন্ন সময়ে ছুটি কাটছাঁটও করেছে সরকার। সবমিলিয়ে কোনো ঘাটতি থাকার কথা নয়। আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি ভালো।’

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘করোনায় ক্ষতির মুখে শুধু বাংলাদেশের শিক্ষা নয়, বিশ্বের সব দেশই এ সমস্যায় ভুগছে। আমরা কিন্তু এরই মধ্যে উলটপালট হওয়া সূচি স্বাভাবিক সময়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। এবার পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসেই পরীক্ষা নিচ্ছি। পরিকল্পনা মেনে কাজ করায় এটা সম্ভব হয়েছে।’

এবার এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কোনো শিখন ঘাটতি নেই বলে দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘এবারের পরীক্ষার্থীরা যখন ক্লাস টেনে (দশম শ্রেণি), সেসময় জানুয়ারিতে কিছুদিন স্কুল বন্ধ ছিল। এমনিতেই আমাদের শিক্ষাবর্ষের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ক্লাস কম হয়। ফেব্রুয়ারি থেকে নিরবচ্ছিন্ন ক্লাস হয়েছে। রমজানেও ছুটি কমিয়ে ক্লাস নেওয়া হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস ভালোভাবেই শিক্ষার্থীরা পড়ার সুযোগ পেয়েছে। কোনো ঘাটতি দেখছি না।’

এবার ৯টি সাধারণ বোর্ডের ১৬ লাখ ৬ হাজর ৮৭৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যেও ছাত্রীরা সংখ্যায় বেশি। এই ৯ বোর্ডে ছাত্র ৭ লাখ ৫৫ হাজার ৭২৩ জন আর ছাত্রী ৮ লাখ ৫১ হাজার ১৫৬ জন। সে হিসাবে ছাত্রের চেয়ে ছাত্রী প্রায় এক লাখ বেশি।

মাদরাসা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায়ও ছাত্রী বেশি। দাখিলে ছাত্র ৯৪ হাজার ৮৪১ আর ছাত্রী সংখ্যা ৩১ হাজার ৫৩২ জন। তবে কারিগরি বোর্ডে ছাত্রীর চেয়ে ছাত্র তিনগুণ বেশি। এ বোর্ডের অধীনে মোট এক লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৯৪ হাজার ৮৪১ আর ছাত্রী ৩১ হাজার ৫৩২ জন।


একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা

 

Link copied!