শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে ৫ দফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার । আজ বৃহস্পতিবার(২৬ আগস্ট) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি এর সভাপতিত্বে এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় যুক্ত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মো. মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান, ড. কাজী শহীদুল্লাহ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মো: হাসিবুল আলম, কোভিড নাইনটিন বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবিরসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।
বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।
সভার আরো সিদ্ধান্ত হয়;
এক. যদিও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী করোনার সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যায়, তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যেখানে শিক্ষার্থীরা পারিবারিক পরিমণ্ডলে কোলাহলের মধ্যে থাকে, এই বিষয় বিবেচনায় নিয়ে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খুলে দেয়ার ক্ষেত্রে সংক্রমণের হার ৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে কোন একটি সংখ্যা বিবেচনা করা যায় কিনা সে বিষয়ে টেকনিক্যাল কমিটির পরামর্শ চাওয়া হবে।
দুই. যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল রিওপেনিং প্ল্যান করে রেখেছে তারপরও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে আলোচনা করে এই রি ওপেনিং প্লান কে আগামী সাত দিনের মধ্যে চূড়ান্ত করবে।
তিন. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে কিনা তার জন্য প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে মনিটরিং সেল গঠন করবে এবং প্রতিদিন প্রতিবেদন তৈরি করবে। আগামী সাত দিনের মধ্যে মনিটরিং প্রতিবেদন তৈরি করার একটি গাইডলাইন তৈরি করা হবে।
চার. বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে সকল বিশ্ববিদ্যালয় তাদের যে সমস্ত শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে টিকা নিয়েছে, টিকা গ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে, টিকা গ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেসন করেনি কিন্তু শিক্ষার্থীর এনআইডি আছে, যাদের এনআইডি নাই কিন্তু তাদের বয়স ১৮ পেরিয়ে গেছে এবং যাদের বয়স এখনো ১৮ হয়নি তাদের একটি তালিকা প্রণয়ন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় যাদের এনআইডি নেই কিন্ত তাদের বিয়স ১৮ এর উপর তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে এনআইডি পাওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সাথে কথা বলবে। তারপর সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সকল শিক্ষার্থীর টিকা গ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। টিকা প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের শরীরে এন্টি বডি হওয়ার জন্য ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। তারপর বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের কর্তৃপক্ষ তাদের বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
পাঁচ. আগামী ১ লা সেপ্টেম্বর বুধবার আবার যৌথসভা অনুষ্ঠিত হবে। ঐ যৌথসভায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে এবং তা প্রেসকে জানিয়ে দেয়া হবে।
একুশে সংবাদ/এসএম
আপনার মতামত লিখুন :