AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

করোনাতেও ঠাকুরগাঁওয়ে থেমে নেই কোচিং বাণিজ্য; স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৪:৩৯ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২১
করোনাতেও ঠাকুরগাঁওয়ে থেমে নেই কোচিং বাণিজ্য; স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা

প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ কোচিং ও প্রাইভেট পড়ানো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। কিন্তু ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় এই নির্দেশ অমান্য করে কিছু অর্থলোভী শিক্ষক প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকালে শহরের বসিরপাড়া এলাকা ঘুরে দেখা যায় সুমন ও সুজন কোচিং সেন্টার চালু রেখে ২/৩ জন শিক্ষককে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াতে দেখা যায় । সুমন ও সুজন কোচিংয়ের দায়িত্বরতরা বলেন তারা অনলাইনে কোচিং করাচ্ছেন ,তবে কোচিং সেন্টারে ছাত্র-ছাত্রীরা কি করছে তার কনো সদুত্তোর মিলেনি।

সুমন ও সুজন কোচিংয়ের পাশেই নাম ছাড়া আরেক কোচিংয়ে পড়াতে দেখা যায় মাছুম বিল্লাহ নামে আরেকজনকে, তবে তিনি ক্যামেরা দেখেই কোচিং ছুটি দিয়ে দেন।

এসব শিক্ষক ভাড়া করা কক্ষে ব্যাচ করে একসঙ্গে ২০ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থীকে বসিয়ে টিউশন বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে সদর উপজেলার শিক্ষার্থীরা করোনা সংক্রমণের মারাত্মক ঝুঁকির মাঝে রয়েছেন। সারাদেশে সরকার যেখানে, করোনাভাইরাস থেকে রেহাই পেতে স্কুল-কলেজ বন্ধ রেখেছে, সেখানে দলবদ্ধভাবে কোচিং কতটা নিরাপদ তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানিয়রা ।

মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ রয়েছে, কিন্তু ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় বেশ কিছু কোচিং সেন্টার ঠিক উল্টো পথে হাটছে। কিছু অসাধু কোচিং মালিক সরকারি আদেশের তোয়াক্কা না করেই চুপচাপ চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অবৈধ কোচিং বাণিজ্য।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে গত বছরের মার্চ মাসের ১৬ তারিখে দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এদিন সচিবালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ নির্দেশ দেন তিনি। তারপর থেকে এখনো পর্যন্ত সেই নির্দেশ জারি রয়েছে। কোচিং চালুর ব্যাপারে নতুন করে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।

দেশে তৃতীয় ধাপে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। করোনা সংক্রমণ রোধে মোট ১৮ দফা নির্দেশনা চূড়ান্ত করেছে সরকার। তার মধ্যে ন্তুত্বপূর্ণ একটি হল সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়) ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

এদিকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কোচিং সেন্টার চালু থাকায় সচেতন মহলে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। করোনার ঝুঁকি নিয়ে কোচিং সেন্টারে আসা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। অভিভাবকদের দায়িত্বে অবহেলা ও খামখেয়ালীপনা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সচেতনমহলে।

কোচিং বাণিজ্য বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, কোচিংয়ের বিরুদ্ধে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। শুধু তাই নয়, করোনার কারণেও রয়েছে বিশেষ কিছু নিষেধাজ্ঞা। সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছু শিক্ষক এ কার্যক্রম চালু করেছেন। যেখানে জীবনের চেয়ে শিক্ষা তথা ব্যবসাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ও সরকার একটি শক্ত ভূমিকা নেবে বলে আমরা আশা করছি।

তবে স্থানিয় প্রশাসনও থেমে নেই, গতকাল রবিবার গোপনে শিশুদের কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ ফোর্সসহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ-আল-মামুন একটি কোচিং সেন্টার বন্ধ করেন এবং শিক্ষককে জরিমানাও করেছেন। এ বিষয়ে জানতে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ-আল-মামুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, লকডাউনে যেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, সেখানে অযাচিতভাবে যারা কোচিং বানিজ্য চালাবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।আমরা মনিটরিং অব্যাহত রেখেছি পাশাপাশি অভিভাবকদের এ বিষয়ে আরও বেশি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

একুশে সংবাদ/বি/ব

Link copied!