AB Bank
ঢাকা রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সবজিতে স্বস্তি; মাছের বাজার চড়া


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
১১:৩১ এএম, ২৪ নভেম্বর, ২০২৩
সবজিতে স্বস্তি; মাছের বাজার চড়া

আসতে শুরু করছে শীত। আমেজ বইছে সবজির বাজারেও। সপ্তাহ ব্যবধানে কমেছে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম। তবে এখনও চড়া মাছের বাজার। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) মহাখালী, কারওয়ানবাজার, মহাম্মদপুর বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র।

ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, বাজারে উঠতে শুরু করেছে সব ধরনের শীতকালীন সবজি। এতে দাম কমতে শুরু করেছে। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে দাম কমেছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। প্রতি কেজি বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কহি ৫০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, কচুর লতি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, পেঁয়াজপাতা ৫০ টাকা, পটোল ৩০ থেকে ৪০ টাকা ও গাজর বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।

এছাড়া শিম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, আলু ৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা, কচুরমুখী ৭০ থেকে ৮০ টাকা,  নতুন আলু ১০০ টাকা ও শালগম বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। আর প্রতিপিস ফুলকপি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা ও লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহ ব্যবধানে কমেছে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম।



এদিকে, বাজারে লাল শাকের আঁটি ৮ টাকা, মুলা শাক ১০ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা ও লাউ শাক ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে সব ধরনের শাক-সবজির দাম কমেছে। মূলত শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতির দিকে।

কারওয়ানবাজারের সবজি বিক্রেতা নাফিস জানান, শীত পড়তে শুরু করায় শীতকালীন সবজির যোগান বাড়ছে বাজারে। এতেই পড়ে গেছে দাম। সামনে আরও দাম কমবে। শীতকাল আসায় বাজারে স্বস্তি ফিরেছে। দাম কমছে সব ধরনের সবজির। গত সপ৫্তাহের তুলনায় কেজিতে প্রায় ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে।

এদিকে, পাইকারি ও খুচরা উভয় পর্যায়েই কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা; আর পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। তবে একদিকে যখন সবজির বাজারে দাম কমার খবরে স্বস্তিতে ক্রেতারা, তখন অন্যদিকে মাছের বাজারে এখনও ছুটছে ঘাম। দাম বেড়ে গেছে ইলিশসহ বেশিরভাগ মাছের।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি বোয়াল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, শোল ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা, কৈ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৩০০ টাকা ও পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।  প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, চাষের শিং ৪৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ৩০০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, টেংরা ৫০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২২০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমে প্রতি কেজি সোনালি মুরগি ২৬০ টাকা ।



আর গত কদিনে কেজিতে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ইলিশ ১ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৫০০ টাকা ও ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা পর্যন্ত।

ক্রেতারা জানান, বাজারে বেড়ে গেছে সব ধরনের মাছের দাম। দেশি মাছের দাম একটু বেশি চড়া। কেজিপ্রতি মাছের দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। যা দিন দিন নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।

আব্দুল্লাহ নামে এক ক্রেতা বলেন, প্রতিটি মাছের দাম বাড়তি। বিশেষ করে দেশি মাছের দাম আকাশছোঁয়া। সবজির বাজারে কিছুটা দাম কমলেও, স্বস্তি ফেরেনি মাছের দামে। দাম বাড়ার কথা স্বীকার করে বিক্রেতারা জানান, হরতাল-অবরোধের পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছ বাজারে আসতে পারছে না। পাশাপাশি গাড়ি ভাড়াও বেড়েছে। তাই দাম কিছুটা চড়া।

দাম কমেছে আদা ও পেঁয়াজের। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১১০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। আর প্রতি কেজি দেশি রসুন ২২০ টাকা, ভারতীয় রসুন ২০০ টাকা ও আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে।

এদিকে, বাজারে দাম কমেছে লাল লেয়ার ও সোনালি মুরগির। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমে প্রতি কেজি সোনালি মুরগি ২৬০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। আর প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। প্রতিকেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়।

কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের করিম মোল্লা জানান, বাজারে বেড়েছে মুরগির সরবরাহ। পাইকারি বাজারে দাম কমায় খুচরা পর্যায়েও কমেছে মুরগির দাম। তবে গরুর মাংসের দাম কমায় বাজারে মুরগির চাহিদা কম। তবে বাজারে খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও, কমেছে গরুর মাংসের দাম। এলাকাভেদে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি এক হাজার ৫০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকায়। কমেছে ডিমের দামও। প্রতি ডজন লাল ডিম ১২০ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাসের ডিম ২০০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

স্থিতিশীল রয়েছে চালের বাজার।



স্থিতিশীল রয়েছে চালের বাজার। বাজারে প্রতি কেজি আঠাইশ চাল ৫২ থেকে ৫৪ টাকা, নাজিরশাইল ৭৬ থেকে ৮৪ টাকা ও মিনিকেট চাল ৬৫ থেকে ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানি শুল্ক অর্ধেক কমানোর পরও বাজারে বেড়ে গেছে চিনির দাম। প্রতি কেজি খোলা ও প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়।  বিক্রেতাদের দাবি, বাজারে চিনি পাওয়াই যাচ্ছে না। শুল্ক কমিয়ে লাভ নেই। পাইকারি পর্যায়ে দাম না কমলে খুচরা পর্যায়েও দাম কমবে না।

নিত্যপণ্যের এ অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পায়। আর বিক্রেতারা বলছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছে করে দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!