AB Bank
ঢাকা রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

এ বছর বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ পরিমাণে ঋণ দিয়েছে: ইআরডি


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
১০:৫৩ পিএম, ১৪ জুন, ২০২৩
এ বছর বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ পরিমাণে ঋণ দিয়েছে: ইআরডি

বিশ্বব্যাংক এ বছর বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ পরিমাণে ঋণ সহায়তা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খান।

 

বুধবার (১৪ জুন) বিশ্বব্যাংক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

 

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক থেকে এক বছরের মধ্যে স্মরণকালের সর্বোচ্চ ঋণ সহায়তা পাচ্ছে বাংলাদেশ। বিগত ৫০ বছরে এই প্রথম বিশ্বব্যাংক এত স্বল্প সময়ে এত বেশি অঙ্কের ঋণ দিচ্ছে।

 

শরিফা খান বলেন, বিগত চুক্তি ও চলমান আরও তিনটি চুক্তি মিলিয়ে মোট ১০টি প্রজেক্টে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংক থেকে ৪ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার ঋণ পেতে যাচ্ছে, যা বিগত যেকোনো সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ।

 

‘বিশ্বব্যাংক গত তিন মাসে ৮টি প্রজেক্টে বাংলাদেশকে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে। এগুলো কোনো সমঝোতা স্মারক বা পাইপলাইনে থাকা কিছু না; অনুমোদিত অর্থ। এর বাইরে চলতি মাসেই আরেকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে যাচ্ছে। পাইপলাইনে আছে আরও দুটি চক্তি’, যোগ করেন তিনি।

 

বিশ্বব্যাংক আয়োজিত অনুষ্ঠানে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংক ‘এক্সেস’ নামে একটি প্রজেক্টের প্রথম ধাপ উদ্বোধন করে। যেখানে বাংলাদেশ ৭৫৩ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ পাচ্ছে।

 

বাংলাদেশ ছাড়াও এ প্রজেক্টে ঋণ পাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার আরও দুটি দেশ নেপাল ও ভুটান। বিশ্বব্যাংক থেকে অনুমোদিত নেপালের ঋণের পরিমাণ ২৭৫ মিলিয়ন ডলার ও ভুটান পাচ্ছে ১০০ মিলিয়ন ডলার।

 

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এক্সেস প্রজেক্ট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করবে। প্রজেক্টটি বাস্তবায়ন হলে দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য খাতে নতুন একটি সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

শরিফা খান আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় এ এলাকার বাণিজ্যিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশ্বের অন্যান্য এলাকার চেয়ে অনেক খারাপ। এটি উন্নয়নে এমন একটি প্রজেক্ট গুরুত্বপূর্ণ ও ফলপ্রসূ ভূমিকা পালন করবে।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ। তিনি বলেন, বাণিজ্য সম্প্রসারণে দিনকে দিন স্থলবন্দরগুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এরইমধ্যে ভারত তাদের স্থলবন্দর উন্নয়নের কাজ শুরু করেছে। এরই সূত্র ধরে বাংলাদেশও বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও পর্যটন শিল্প বিকাশে বেনাপোল, ভোমরা ও বুড়িমারি বন্দরকে আধুনিকায়ন করতে যাচ্ছে।

 

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য স্থলবন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। বিশেষ করে অবকাঠামোগত উন্নয়নের লক্ষ্যে স্থলবন্দরকে অটোমেশনের আওতায় আনা হবে। এসব বিষয়ে যত ধরণের সাহায্য দরকার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় তা করবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

 

তিনি আরও বলেন, এরইমধ্যে ভারতের স্থলবন্দর উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদেরও এখন থেকে শুরু করতে হবে। স্থলবন্দরগুলোতে আধুনিকায়নের পাশাপাশি রেলপথ সংযোজনেরও চিন্তাভাবনা আছে। এর বাইরে স্থলবন্দরের সৌর প্যানেল ও আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।

 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেন, আঞ্চলিক বাণিজ্য উন্নয়নের জন্য কাস্টমস ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করতে ঢেলে সাজানো হবে। কাস্টমসের কাজের আওতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করা হবে। এছাড়া এক্সেস প্রজেক্টটি বাস্তবায়ন হলে সরাসরি উপকারভোগী হবে আমদানি ও রফতানিকারকরা। আর সামগ্রিকভাবে সারা দেশের মানুষ সুবিধাভোগী হবে বলে জানান তিনি।

 

বাংলাদেশের কাস্টমস সার্ভিসকে বিশ্বমানের করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে এনবিআর। বিশেষ করে পণ্য পরীক্ষণের জন্য সশরীরের পরীক্ষা নীতিতে বড় রকমের পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানান রহমাতুল মুনিম।

 

একুশে সংবাদ/আ.ট.প্র/জাহা

Link copied!