দেশে আবার সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। চলতি বছরের মে মাসে সেটা হয়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। গত ১১ বছরের মধ্যে যা রেকর্ড। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি কমে ছিল। ওই মাসে সেটা ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। মার্চে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
বিবিএস জানায়, মে মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। তবে খাদ্য বহির্ভূত পণ্য ও সেবায় এ হার ছিল প্রায় ১০ শতাংশ।
পণ্য ও সেবার দাম বৃদ্ধির মাত্রা বেশি শহরাঞ্চলে। গত এক বছর ধরেই দেশে এ প্রবণতা বাড়ছে। এর পেছনে আন্তর্জাতিক অস্থিরতাকে দুষছে সরকার।
তবে দেশীয় বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে বিশেষজ্ঞদের। যদিও বলা হচ্ছে, গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি শহরের তুলনায় কিছুটা কম।
২০২২ সালের আগস্টে দেশে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি হয় ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ। এক দশকের মধ্যে যা ছিল সর্বোচ্চ। অক্টোবরে তা কিছুটা কমে হয় ৮ দশমিক ৯১ শতাংশ।
এরপরের মাসগুলোতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে। গত এপ্রিলেও যা দেখা গেছে। কিন্তু ২০২৩ সালের সবশেষ মাসে তা আবার বেড়ে গেলো।
বিবিএস জানায়, ২০১২ সালের মার্চে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ১ শতাংশ। এরপর ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশই সর্বোচ্চ।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :