রাজধানীর বাজারে বেঁড়েছে মাছ, মাংস ও পেঁয়াজের দাম। তবে ঝাঁজ কমেছে কাঁচা মরিচে, কমেছে ডিমের দাম। শুক্রবার (৩ মার্চ) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
সেখানে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা দরে। খাসির মাংসের দাম প্রতিকেজি ১১শ টাকা। দুই সপ্তাহ আগে গরুর মাংস বিক্রি হতো ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০০-১১০০ টাকায়। আগে বিক্রি হতো ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায়।
এদিকে টানা তিন সপ্তাহ ধরে অস্থির ব্রয়লার মুরগি দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার এখন ২৪০-২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগির কেজি ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩১০-৩২০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৮০-২৯০ টাকা।
সেই উত্তাপ এখন ছড়িয়েছে মাছের বাজারেও। প্রকারভেদে সাধারণ চাষের মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে প্রায় ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে ইলিশ-চিংড়ির পাশাপাশি দেশি পদের (উন্মুক্ত জলাশয়ের) মাছগুলোর দাম বেড়েছে ১০০-৩০০ টাকা পর্যন্ত।
১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রুবেল বলেন, ‘আবার দাম বেড়েছে মুরগির। ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম বাড়তি। শবে বরাতকে সামনে রেখে বেড়েছে মুরগির দাম।’
ডিম বিক্রেতা মো. আশিক বলেন, ‘ফার্মের মুরগির ডিমের দাম একটু কমেছে। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। পাড়া-মহল্লার দোকানে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। অন্য ডিম আগের দামেই আছে।’
সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে বাঁধাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। প্রতি কেজি শসা ৫০-৬০, বেগুন ৬০-৮০, টমেটো ৩০-৪০, শিম ৫০-৬০ ও করলা ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০, লাউ আকারভেদে ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৮০, ঢেঁড়স ১০০, কচুর লতি ৬০-৭০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ১০০ ও ধুন্দুল ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কমেছে কাঁচামরিচের দাম। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচের কেজি ছিল ১৯০ থেকে ২০০ টাকা।
১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা আল-আমিন বলেন, দু-একটি সবজির দাম বেড়েছে। অন্যান্য সবজির দাম নাগালেই আছে ক্রেতাদের। তবে কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমেছে।
কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকায়।
পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। বড় রসুনের কেজি ১৪০ টাকা। ছোট রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়। আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়।
বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। খোলা চিনি প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়।
খোলা আটার কেজি ৬০ টাকা। প্যাকেট আটা ৬৫ টাকা, যা আগে কেজি ছিল ৭০ টাকা। দুই কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।
দেশি মসুর ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকা। বাজারে সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ টাকায়। লবণের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকায়।
একুশে সংবাদ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :