AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

শাহবাগে জামায়াতের তাণ্ডব, সাঈদীর ছেলেসহ আসামি ৫ হাজার


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪:২৪ পিএম, ১৬ আগস্ট, ২০২৩
শাহবাগে জামায়াতের তাণ্ডব, সাঈদীর ছেলেসহ আসামি ৫ হাজার

মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহ নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এবং শাহবাগ এলাকায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের ৫ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) রাতে শাহবাগ থানার করা এ মামলায় সরকারি কাজে বাধা, মারধর, গাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

 

ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আশরাফ হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

শাহবাগ থানাসূত্রে জানা যায়, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহ পিরোজপুরে নেওয়াকে কেন্দ্র করে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৫ হাজার জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে।

 

মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন- সাঈদীর ছোট ছেলে মাসুদ সাঈদী, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, ইসলামিক ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি সফিকুল ইসলাম মাসুদ এবং ঢাকা মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সরকারী সেক্রেটারি জেনারেল সাইফুল ইসলাম।
 

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা সাঈদী সোমবার (১৪ আগস্ট) রাতে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

 

সেই খবরে জামায়াত-শিবিরের কয়েক হাজার নেতাকর্মী রাতেই বিএসএমএমইউ ও শাহবাগে ভিড় করেন। মরদেহ হস্তান্তরকে কেন্দ্র করে তারা পরে তাণ্ডব চালায় বলে জানান ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

 

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যখন মরদেহ গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়, তখন হাজার হাজার জামায়াত-শিবির মরদেহবাহী গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন। তারা কোনো মতে এই মরদেহ পিরোজপুরে নিয়ে যেতে দেবে না। এ সময় মরদেহবাহী গাড়ির সঙ্গে থাকা পুলিশ অফিসার ও পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করে জামায়াত-শিবির। সঙ্গে তারা গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে।

 

এ হামলায় ডিসি রমনাসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র অফিসার আহত হন। তারা পুলিশের চার থেকে পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং দুটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে দেয়।

 

তিনি বলেন, আমরা ধৈর্য সহকারে এ তাণ্ডব সহ্য করি যে তারা একটা মরদেহ নিয়ে যেতে চাচ্ছে নিয়ে যাক। তারপরেও আমরা কোনো শক্তি প্রয়োগ করিনি। ফজরের নামাজের পরে তাদের আবারও অনুমতি দেওয়া হলো জানাজা পড়ার। কিন্তু ফজরের নামাজের পরে তারা আমাদের অফিসারদের বের করে বিএসএমএমইউ দখলে নিয়ে নিল। তারা মরদেহ পিরোজপুর নিতে দেবে না।

 

এর মধ্যে তারা ফেসবুকে প্রচার করতে শুরু করল সারাদেশ থেকে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের শাহবাগে আসার জন্য। তখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় তাদের ওপরে আমরা অত্যন্ত সীমিত আকারে শক্তি প্রয়োগ করি। আমরা টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে বিএসএমএমইউ মুক্ত করে সাঈদীর মরদেহ পিরোজপুরে পাঠানোর ব্যবস্থা করি।

 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াত-শিবির যে তাদের চরিত্রটা পাল্টায়নি, এটি তারা আবারও প্রমাণ করল। বিগত ২০১২-১৩ সালে তারা যেভাবে পুলিশকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা, হেলমেট দিয়ে পিটিয়ে পুলিশের মাথা থেঁতলে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে, সে চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ তারা আবারও করল।

 

তিনি বলেন, আমরা ধৈর্য্য সহকারে এই তাণ্ডব সহ্য করেছি, তারা লাশ নিয়ে যেতে চাচ্ছে নিয়ে যাক। আমরা কোনো শক্তি প্রয়োগ করিনি। ফজরের নামাজের পরে তাদের আবারও অনুমতি দেওয়া হল জানাজা পড়ার। কিন্তু ফজরের নামাজের পর তারা আমাদের অফিসারদের বের করে বিএসএমএমইউ দখলে নিয়ে নিল। তারা লাশ পিরোজপুর নিতে দেবে না।

 

এর মধ্যে তারা ফেসবুকে প্রচার করতে শুরু করে সারা দেশ থেকে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের শাহবাগে আসার জন্য। তখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় তাদের ওপরে অত্যন্ত সীমিত আকারে শক্তি প্রয়োগ করা হয়। টিয়ার শেল নিক্ষেপের মাধ্যমে বিএসএমএমইউ মুক্ত করে সাঈদীর লাশ পিরোজপুরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

 

এক প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ কমিশনার বলেন, জামায়াত-শিবির যে তাদের চরিত্রটা পাল্টায়নি, এটা তারা আবারও প্রমাণ করল। বিগত ২০১২-১৩ সালে তারা যেভাবে পুলিশকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা, হেলমেট দিয়ে পিটিয়ে পুলিশের মাথা থেঁতলে দেওয়ার মত ঘটনা ঘটিয়েছে, সেই চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ তারা আবারও করল।

 

একাত্তরে ‘দেইল্লা রাজাকার’ হিসেবে পরিচিত সাঈদী পরে ইসলাম ধর্মীয় বক্তা হিসেবে পরিচিতি কুড়ান। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জামায়াতের মনোনয়নে পিরোজপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্যও হয়েছিলেন।

 

মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াতের তখনকার নায়েবে আমির সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। পরে ২০১৪ সালে সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয় আপিল বিভাগ।

 

ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর রায়ের পর দেশজুড়ে সহিংসতা চালায় জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা। ওই তাণ্ডবে প্রথম তিন দিনেই নিহত হন অন্তত ৭০ জন। এছাড়া বহু গাড়ি-দোকানপাট ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, হিন্দুদের মন্দির-ঘরবাড়ি ভাংচুর করা হয়।

 

সাঈদীর মৃত্যুর পর মঙ্গলবার তার গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করেও ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে কক্সবাজারের চকোরিয়ায় সংঘর্ষের সময় একজন নিহত হন।

 

একুশে সংবাদ/স/এসএপি

Link copied!