টিকটক সেলিব্রেটি বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে টুম্পা নামের এক কিশোরীকে ভারতে পাচারের পর হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-৬ খুলনার সিও লে. কর্নেল মোস্তাক আহমেদ এ তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নড়াইলের কালিয়ার আলী হোসেন (২০), খুলনার সদর থানা এলাকার কুলসুম বেগম (৪৫) ও তার ছেলে আল-আমিন (১৯)। ভারতে হত্যার শিকার টুম্পার (১৭) বাড়ি ঢাকার ডেমরা এলাকায়।
র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান বলেন, ‘গ্রেফতার হওয়া কুলসুম বেগমের মেয়ে বৃষ্টি এবং তার স্বামী নবাব ভারতে বসবাস করেন। বৃষ্টি ও নবাব বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কিশোরী ও যুবতীদের পাচার করে ভারতে নিয়ে যায়। এ কাজে তাদের সহযোগিতা করেন কুলসুম বেগম ও তার ছেলে আল আমিন। এই চক্রই টুম্পাকে টিকটক সেলিব্রেটি বানানো ও বিদেশে উচ্চ বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ২০২১ সালে তাকে খুলনায় কুলসুমের বাড়ি নিয়ে যায়। পরে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে তাকে ভারতে পাচার করা হয়।’
র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, ‘টুম্পাকে ভারতের একটি বাসায় আটকে রেখে অনৈতিক কাজ করানোর পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো। সেখান টুম্পা পালানোর চেষ্টা করলে গত ২৬ জানুয়ারি নবাব ও বৃষ্টি নির্দেশে আলী হোসেন টুম্পাকে হত্যা করে। ভারতের গুজরাট পুলিশ টুম্পার মরদেহ উদ্ধার করে টুম্পার বাবাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। পরবর্তীতে টুম্পার বাবা র্যাবের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ দেন।’
লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান বলেন, ‘র্যাব সদস্যরা তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে অভিযুক্তদের অবস্থান নিশ্চিত হয় এবং শুক্রবার অভিযান চালিয়ে টুম্পা হত্যায় জড়িত আলী হোসেন, পাচারকারী কুলসুম বেগম ও তার ছেলে আল আমিনকে গ্রেফতার করে।’
তিনি জানান, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে টুম্পাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন গ্রেফতার তিনজন। এ ব্যাপারে ডেমরা থানায় মামলা হওয়ায় গ্রেফতার তিনজনকে সেখানে সোপর্দ করা হয়েছে।’
একুশে সংবাদ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :