AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বগুড়ায় আবাসিক হোটেল গুলো এখন মিনি পতিতালয়


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৩:৩২ পিএম, ১২ মার্চ, ২০২১
বগুড়ায় আবাসিক হোটেল গুলো এখন মিনি পতিতালয়

অভিযোগ রয়েছে বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থান, শহরতলীর মাটিডালি বিমান মোড় এলাকা থেকে উত্তরদিকে ৩ মাথা রেল গেইট পর্যন্ত এলাকার নতুন ও পুরাতন মিলিয়ে ১৩টি মোটেল, আবাসিক হোটেল, চাইনিজ রেস্টুরেন্ট কাম আবাসিক হোটেলে বিরতীহীন ভাবে চলছে দেহ ব্যবসা । 

এই এলাকায় অতি সম্প্রতি কয়েকটি নতুন চাইনিজ কাম আবাসিক হোটেলে তৈরি হয়েছে মূলত দেহ ব্যবসার জন্য, এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।

অভিযোগ রয়েছে, এই সব  আবাসিক হোটেলে শুধু দেহ ব্যবসায় চলে না বরং মাদক সেবন, মাদকের চালান হস্তান্তর, ঘুষ লেনদেন, চাঁদাবাজির টাকাও হস্তান্তর করা হয়।

একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাটের একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করে, বগুড়া শহরতলীর মাটিডালি বিমান মোড়ের কাছে অবস্থিত আবাসিক হোটেলগুলোতে অসামাজিক কার্যকলাপে এর দায়ে একাধিক  নারী পুরুষ আটক হয়।

আটককৃতদের মধ্যে কাউকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে অর্থদন্ড দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় কাউকে  আবার কারাদন্ড দিয়ে পাঠানো হয় বগুড়া জেলা কারাগারে। এমনকি এই হোটেল মালিকদের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে অর্থদন্ডসহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হলেও তিনি সংযত না হয় পুনরায় হোটেলে দেহ ব্যবসা পরিচালনা করে।

গত কয়েক মাসে মহাস্থান এলাকায়, হোটেল চারমাথা, হোটেল টাইম স্কয়ার, ড্রিম প্যালেস, নীল সাগর, গোধুলীতে অভিযান চালিয়েছে আইন শৃংখলা বাহিনী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বগুড়া শহরতলীর ৪ মাথায় বাস স্ট্যান্ড এর পূর্ব পার্শ্বে অবস্থিত হোটেল চারমাথা ও তিনমাথা রেলগেটে হোটেল অবকাশ। এ সব হোটেলে চলছে প্রায় প্রকাশ্যেই নারী ব্যবসা। এই হোটেল গুলোতে ইতোমধ্যেই গত এক দশকে ১০/১২ বার অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। 

হোটেল মালিকসহ ম্যানেজার ও কর্মচারির বিরুদ্ধে নারী ব্যবসা ও নারী ধর্ষণ সংক্রান্ত একাধিক মামলা চলমান রয়েছে । তবে অভিযুক্ত আবাসিক হোটেল ও চাইনিজ রেস্টুরেন্টগুলোর মালিকরা সবাই সম্পদ ও প্রভাবশালী হওয়ায় সেই সাথে নারী ব্যবসায় নগদ লাভের পরিমাণ বেশি হওয়ায় কেউ এই লাভের ব্যবসা বন্ধ করছেন না। 

তাই সমাজের সচেতন মহলের দাবি প্রশাসনের মাধ্যমে এইসব হোটেল ব্যবসায়ীকে কঠিন থেকে কঠিন শাস্তির আওতায় নিলে অসামাজিক কার্যক্রম বন্ধ করা সম্ভব।

একুশে সংবাদ/নূ/আ

Link copied!