রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সামিহা (১৪) অপহৃত হওয়ার এক মাস শেষ হলেও তার কোনো সন্ধান মেলেনি। দীর্ঘ প্রতীক্ষা, অনিশ্চয়তা ও পুলিশের উদাসীনতায় ক্ষুব্ধ পরিবার শনিবার বেলা ১১টার দিকে পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে মানববন্ধন করে মেয়েকে অক্ষত অবস্থায় ফিরে পাওয়ার দাবি জানায়।
মানববন্ধনে সামিহার সহপাঠী, শিক্ষক, স্থানীয় জনসাধারণ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেন। তারা প্লেকার্ড হাতে দ্রুত ও নিরাপদে সামিহাকে উদ্ধার করার দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সামিহার বাবা এবং পুঠিয়া পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান। তিনি বুকভরা কষ্ট নিয়ে বলেন,
“২৬ অক্টোবর আমার মেয়েকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গেছে একদল মাদক কারবারি। কোথায় আছে, কেমন আছে—কিছুই জানি না। প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমি হাতজোড় করে বলছি, আমার মেয়েকে আমাকে ফিরিয়ে দিন।”
ঘটনার পরদিন ২৭ অক্টোবর মিজানুর রহমান পুঠিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় হৃদয় (২৪), শরিফুল ইসলাম (৪৫), রোজিনা বেগম (৪০), সেলিম (৩০), নোমান (২২), এন্তাজ মন্ডল (৪০)সহ তিনজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। তবে এক মাস পেরিয়ে গেলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন পরিবারের সদস্যরা।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুঠিয়া সার্কেল) কুদরত-ই-খুদা শুভ বলেন,“ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। এখনো মেয়েটিকে ট্রেস করা সম্ভব হয়নি। মূল ট্রেসিং পদ্ধতি ডিভাইস লোকেশন—কিন্তু সংশ্লিষ্টদের ব্যবহৃত ডিভাইস এতদিন অ্যাকটিভেট না হওয়ায় জটিলতা তৈরি হয়েছে। আলাদা একটি টিম কাজ করছে।”
তিনি আরও জানান, তদন্তে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হলে কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে, তবে সামিহাকে উদ্ধারে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
একুশে সংবাদ//এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

