জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কালো ব্যাজ ধারণ ও মৌন মিছিল করেছে জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আজ শুক্রবার বিকেলে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে কালো ব্যাজ ধারণ শেষে মৌন মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি কান্দিপাড়া মোড়, টি.এ. রোড, মুক্তমঞ্চ সড়ক ও পুরাতন কাচারি মোড় হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাব চত্বরে গিয়ে এক আলোচনা সভায় পরিণত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল। এতে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি জহিরুল হক খোকন, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান শাহিন, অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার খোকন, মোমিনুল হক, তারিকুল ইসলাম রুমা প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, “জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা এই কালো ব্যাজ ও মৌন মিছিল করেছি। এ গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র ও জনতা ভোটারবিহীন নির্বাচন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি এবং সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। সেই চেতনাকে বিস্মৃত হলে শহীদদের আত্মার অবমূল্যায়ন হবে। এই চেতনাকে সামনে রেখেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”
তিনি আরও জানান, গণঅভ্যুত্থানে বিএনপির প্রায় ৪ শতাধিক নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইতোমধ্যেই নানা অনিয়মের অভিযোগে বহু নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছেন। জনগণের দুর্ভোগে যাঁরা দায়ী হবেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইঞ্জিনিয়ার শ্যামল বলেন, “বিএনপির জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে কিছু দল ষড়যন্ত্র করছে। তারা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ও জাতীয় নির্বাচনের আগেই স্থানীয় নির্বাচন চাইছে, যা একমাত্র জাতীয় সংসদেই নির্ধারিত হতে পারে। যেসব দলের পেছনে জনসমর্থন নেই, তারাই এসব প্রস্তাব দিচ্ছে। এমনকি স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির কিছু দল আবারও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।”
তিনি দ্রুত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এবং নির্বাচন নিয়ে ‘টালবাহানা’ না করার অনুরোধ জানান।
একুশে সংবাদ/ব্রা.প্র/এ.জে