AB Bank
  • ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সাড়ে দশটায় আসেন শিক্ষক, দপ্তরীর ব্যস্ততা বাড়ির কাজে



সাড়ে দশটায় আসেন শিক্ষক, দপ্তরীর ব্যস্ততা বাড়ির কাজে

নলছিটি উপজেলার ৩৭ নং মধ্য গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের অনুপস্থিতি ও অনিয়মে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় দেখা যায়, ৪ জন শিক্ষকের মধ্যে শুধু সহকারী শিক্ষিকা মোসাঃ সালমা আক্তার উপস্থিত। তিনি প্রথম ও ২য় শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের একত্র করে একটি কক্ষে ক্লাস নিচ্ছেন। বাকিদের মধ্যে দু’জন ছুটিতে, আরেকজন মোসাঃ মুন্নী আক্তার (নাসরীন) তখনো স্কুলে উপস্থিত হননি। অথচ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৯টায় উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও সেই নিয়মের তোয়াক্কা করছেন না তারা। 

সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে তড়িঘড়ি করে বিদ্যালয়ে পৌঁছান ওই শিক্ষিকা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, তিনি অসুস্থ ছিলেন। তবে ছুটি নিয়েছেন কি না জানতে চাওয়া হলে কোনো স্পষ্ট উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান।

নৈশপ্রহরী কাম দপ্তরি মোঃ রিয়াজ হোসেন বিদ্যালয়ের দরজা খুলে বাজারে চলে গেছেন বলে জানান উপস্থিত শিক্ষিকা। ওয়াস ব্লকের কেচিগেট তালাবদ্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়ে। প্রায় ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই গেটের তালা খুলেন। দপ্তরির এমন অনিয়ম প্রতিদিনের ঘটনা বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। শিক্ষার্থীদের দিয়ে বিভিন্ন কাজ করানোর মতো অভিযোগ রয়েছে এই দপ্তরীর বিরুদ্ধে। 

স্থানীয় অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাসে থাকেন না। অনেকে হাজিরা দিয়ে বাড়ির কাজে চলে যান। এর ফলে শিক্ষার মানে ধস নামছে, স্কুলে শিক্ষার্থীও কমছে। গ্রামের কোমলমতি শিশুদের পড়ালেখা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা।

প্রধান শিক্ষিকা শাহিনা বেগম বলেন, “আমি ছুটিতে আছি। আমি জানি একজন সহকারী শিক্ষিকা ছুটিতে আছেন, অপরজন কেন সঠিক সময়ে আসেননি এবং দপ্তরি স্কুল চলাকালীন সময়ে কীভাবে বাড়ির কাজে বাজারে গেলেন এই অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করতে ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানাতেও অনুরোধ করেন।

ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শারমিন আক্তারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


একুশে সংবাদ/ঝা. প্র/ এ.জে

Link copied!