ভোলার চরফ্যাশন ও মনপুরায় সাংগঠনিক স্থবিরতায় ভুগছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সংগঠনের স্থানীয় নেতাদের অভিযোগ, গ্রুপিং, আঞ্চলিক আধিপত্য ও পকেট কমিটির সংস্কৃতির কারণে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন ত্যাগী ও দক্ষ নেতারা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ছাত্রদলের ঐতিহ্য ও মাঠপর্যায়ে সংগঠনের কার্যকারিতা।
নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বর্তমানে পদ-পদবী পাওয়ার ক্ষেত্রে ত্যাগ বা দক্ষতার চেয়ে ব্যক্তিগত সম্পর্ক, গ্রুপ নির্ভরতা ও পরিচিতি বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এতে করে নেতৃত্বে স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব শিকদার বলেন, ‘চরফ্যাশনে এখন ছাত্রদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অনেকে যাদের নেতৃত্বগুণ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এই সংকট থেকে উত্তরণে শিক্ষার্থীদের সরাসরি ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচনই হতে পারে একমাত্র সমাধান।’
তিনি দাবি করেন, ‘যারা সংগঠনের জন্য দীর্ঘদিন কাজ করেছেন, আন্দোলন-সংগ্রামে যুক্ত ছিলেন, আজ তারাই নেতৃত্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এতে মাঠপর্যায়ের কর্মীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে।’
এছাড়া জেলা ছাত্রদলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তার ভাষায়, ‘ভোলা জেলা ছাত্রদল যোগ্যতার ভিত্তিতে কমিটি গঠনে ব্যর্থ হয়েছে। বরং ব্যক্তি পছন্দ ও গ্রুপিংয়ের কারণে চরফ্যাশন ও মনপুরায় সংগঠনের ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শহীদ আব্দুর রাজ্জাক, ইফতেখার খায়রুল শামীমদের মতো নেতারা প্রমাণ করেছেন ছাত্রদল কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেনি। অথচ আজ সেই সংগঠন নিজেদের মধ্যেই বিভক্ত।’
সংগঠনের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক চর্চা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ছাত্রদের ভোটে ছাত্রদের প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমেই নেতৃত্বে স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব।’
একুশে সংবাদ/ভো.প্র/এ.জে