ফরিদগঞ্জ থেকে চাঁদপুর রুটে অস্বাভাবিক ভাবে সিএনজি ভাড়া আদায় করছিলো সিএনজি চালকরা। ৫০ টাকার ভাড়া কখনো কখনো ২০০ টাকা পর্যন্ত জনপ্রতি আদায় করা হচ্ছে। নারী যাত্রীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগও আছে সিএনজি চালকদের বিরুদ্ধে।
ফরিদগঞ্জ থেকে চাঁদপুর রুটে সিএনজি ভাড়া এবং নারীদের সাথে বাঝে আচরণের বিষয়ে যখন ফরিদগঞ্জে আলোচনা তুঙ্গে তখন গত ১৭ ই জুন দৈনিক আলোকিত চাঁদপুর এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে।
তার ২ দিন পর ২০ ই জুন থেকে থেকে অতিরিক্ত সিএনজি ভাড়া আদায় বন্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়ার নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়। এতে সেনাবাহিনী অংশ নেয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুরু থেকেই এ বিষয়ে আন্তরিক ভূমিকা পালন করেছেন, তিনি মানুষকে আশ্বস্ত করেছেন যে এটির তদন্ত পূর্বক একটি সমাধান করবেন।
তারই ধারাবাহিকতায় অভিযান শুরু হয়। এ বিষয়ে তিনি জানান, অতিরিক্ত সিএনজি ভাড়া আদায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যগণ উপস্তিত ছিলেন। সিএনজিস্ট্যান্ড এলাকায় উপস্থিত সকল সিএনজি চালকদেরকে সতর্ক করা হয়। তারা অতিরিক্ত ভাড়া নিবেন না, মর্মে উপজেলা প্রশাসনকে আশ্বস্ত করেন। উল্লেখ্য, সিএনজি চালকদেরকে নারী যাত্রীদের সাথে সৌজন্যমূলক আচরণের পরামর্শ দেয়া হয়।
যাত্রীরা বলেন, নিয়মিত তদারকি হলে অতিরিক্ত সিএনজি ভাড়া আদায়ের ঘটনা বন্ধ হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে অভিযান শুরু করায় ধন্যবাদ জানায়।
একুশে সংবাদ/চাঁ.প্র/এ.জে