AB Bank
  • ঢাকা
  • শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

পলাশে দু‍‍`গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু


Ekushey Sangbad
সাব্বির হোসেন, পলাশ, নরসিংদী
০৪:৪৩ পিএম, ২১ জুন, ২০২৫

পলাশে দু‍‍`গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় ছাত্রদল ও জেলা বিএনপি নেতার শোডাউনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার ছয়দিন পর মারা গেছেন ইসমাইল হোসেন (২৬) নামে এক ছাত্রদল কর্মী।

নিহত ইসমাইল হোসেন পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার খানেপুর গ্রামের আব্দুর রহিম ভূঁইয়ার ছেলে।

নিহতের বাবা আব্দুর রহিম ভূঁইয়া জানান,“শনিবার (২১ জুন) বেলা ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ছেলে মারা যায়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে এবং আজই গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে দাফন করা হবে। আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।”

পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. নাজমুল হোসেন সোহেল বলেন,“ইসমাইল ছাত্রদলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। আমাদের ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েল ও তার অনুসারীরা গুলি চালায়। এতে ইসমাইল গুলিবিদ্ধ হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে জন্য দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন,“আমরা গুলিবিদ্ধ ইসমাইল হোসেনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। তবে এখনো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। তথ্য পেলে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

গত রোববার (১৫ জুন) সন্ধ্যায়, উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার বিএডিসি মোড়ে পলাশ উপজেলা ছাত্রদল ও জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের শোডাউনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন, এবং ছাত্রদল কর্মী ইসমাইল হোসেন ও পথচারী সোহেল মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। পরে ইসমাইলকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ও অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ দিন পর তিনি মারা যান।

ঘটনার পর দুই পক্ষ থেকেই পলাশ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ঢাকার একটি হাসপাতাল থেকে বিএনপি নেতা ফজলুল কবির জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে পলাশ থানা পুলিশ।

 

একুশে সংবাদ/ন.প্র/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!