নান্দাইলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের সংঘর্ষে আহত ২০

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (১৪ জুন) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বেলালাবাদ দত্তপুর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষের কারণে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উত্তর পালাহার গ্রামের কাঞ্চন (২৮), ইসরাফিল (৪৮), আল-আমিন (২৫), অপু (২০) ও হিমেল (২৫);
দত্তপুর গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম (৪০), শরীফ মিয়া (২৫), ফারুক (৩০), রমজান মিয়া (৩৩) ও ফজলুর রহমান।
তাদের মধ্যে কয়েকজনকে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে বেলালাবাদ দত্তপুর বাসস্ট্যান্ডে অটোরিকশা দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে দত্তপুর গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম ও উত্তর পালাহার গ্রামের সজল মিয়ার মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসার জন্য বসলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে এবং একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এ সময় মহাসড়কের এমএন ফিলিং স্টেশনের সামনে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন।
স্থানীয়রা জানান, ১১ জুন ময়মনসিংহ জেলা মোটরযান কর্মচারী সমিতি নান্দাইলের কানুরামপুর পরিবহন পরিচালনা রুটে ২৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি অনুমোদন দেয়। এ কমিটির ঘোষণার পর থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ ও উত্তেজনা তৈরি হয়। এরই জেরে সংঘর্ষ ঘটে বলে দাবি স্থানীয়দের।
দত্তপুর গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “এক অটোরিকশা চালককে মারধরের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমার ওপর হামলা চালানো হয়। আজ দলবল নিয়ে আবার হামলা চালিয়েছে তারা।”

উত্তর পালাহার গ্রামের সজল মিয়া বলেন, “আমার এলাকার ছোট ভাইদের মারধর করেছে আনোয়ারুলের লোকজন। পরে আমি প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকেও মারধর করে। কমিটি ঘোষণার পর থেকেই তারা ঝামেলা করছে।”

নান্দাইল থানার ওসি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, “চাঁদাবাজি সংক্রান্ত বিরোধ থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে আমরা স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করেছি।”

নান্দাইল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়জুর রহমান বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”

একুশে সংবাদ/ম.প্র/এ.জে