নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় গরমের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ঠাণ্ডা ও সুস্বাদু তালের শাঁসের চাহিদা। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও সড়কের পাশে ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে তালের শাঁস বিক্রি করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। গ্রীষ্মকালে শরীর ঠান্ডা রাখতে এবং পানিশূন্যতা দূর করতে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষগুলো এই ফলের দিকে ঝুঁকছেন।
উপজেলার ঘোড়াশাল রৌশন জেনারেল প্রা: হাসপাতালের সামনে তালের শাঁস বিক্রি করছেন ফারুক নামের এক বিক্রেতা। তিনি জানান, “গ্রীষ্ম মৌসুমে তাল শাঁসের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। প্রতিদিন গড়ে ২০০ থেকে ৩০০টি শাঁস বিক্রি হয়। প্রতিটি তালের দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা। বিক্রি ভালো থাকায় লাভও হচ্ছে ভালো।”
ডাংগা বাজারের আরেক বিক্রেতা নজরুল বলেন, “সকালে বিক্রি একটু কম হলেও বিকেলের দিকে ক্রেতাদের ভিড় বেড়ে যায়। কেউ নরম শাঁস পছন্দ করেন, কেউ একটু শক্ত শাঁস চান। গরমে তাল গাছ থেকে ছড়া কেটে বাজারে আনতে কষ্ট হয় ঠিকই, কিন্তু বিক্রি করে সেই কষ্ট পুষিয়ে যাচ্ছে।”
স্থানীয় ক্রেতা জুয়েল বলেন, “তালের শাঁস খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি এই গরমে এটি খেয়ে বেশ স্বস্তি পাওয়া যায়। দাম কিছুটা বেশি হলেও তাজা ও ফরমালিনমুক্ত বলে এই ফল শরীরের জন্য খুবই উপকারী।”
নাজমুল হক নামে এক গৃহস্থ বলেন, “এই গরমে আমাদের পরিবারের সদস্যদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে তাল শাঁস। আমি প্রতি সপ্তাহে তিন-চারবার শাঁস কিনে বাসায় নিয়ে যাই।”
পলাশ উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডা. শুভ্র কুমার কর জানান, “তালের শাঁস একটি ভিটামিন ও পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল। এতে থাকা জলীয় অংশ শরীরের পানিশূন্যতা দূর করতে সহায়ক। শাঁসে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন-এ, যা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বককে সুন্দর ও দীপ্তিময় করে তোলে।”
পলাশ উপজেলার বাজারগুলোতে গ্রীষ্মের এই সময় তাই তাল শাঁস যেন হয়ে উঠেছে প্রাকৃতিক স্বস্তির এক সেরা উৎস।
একুশে সংবাদ/ন.প্র/এ.জে