মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশীদ্রোন ইউনিয়নের পারের টং গ্রামে এক বয়োবৃদ্ধ বিধবা নারীর জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী ভূমিদস্যু চক্রের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আদালতের আদেশ অমান্য করার অভিযোগও রয়েছে।
ভুক্তভোগী মোছা. জায়দা বেগমের পুত্র মো. মুসাহিদ আহমদ জানান, ১৯৯৫ সালে তার মামারা পারের টং মৌজার ৭০৪, ৭০৫, ৭০৬, ৭০৭ ও ৫৭০ নম্বর দাগে মোট ৮০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন এবং পরে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক হেবা করে জায়দা বেগমের নামে দলিল করে দেন। ২০১৭ সালে দলিল নিবন্ধনের পর তার নামে নামজারি ও ভূমি কর পরিশোধ করা হচ্ছে।
তবে, কিছুদিন আগে পাশ্ববর্তী বাড়ির বশির মিয়া ও তার ভাই কবির মিয়া গং ৫৭০ দাগের ১৫ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করে নেয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় সালিশে সমাধান না হওয়ায় জায়দা বেগম সহকারী জজ আদালত, শ্রীমঙ্গল-এ মামলা করেন (মোকদ্দমা নং ৪৬/স্বত্ব)।
আদালতের নির্দেশে এডভোকেট কমিশনার সরজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিল করলে, গত ১৮ মে আদালত বিবাদীপক্ষকে ১৫ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলেন—কেন তাদের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে না।
তবে অভিযোগ রয়েছে, আদালতের আদেশ সত্ত্বেও বিবাদীপক্ষ জমিতে চাষাবাদ অব্যাহত রেখেছে এবং জমিতে গেলে জায়দা বেগম ও তার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বশির মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা বিতর্কিত জমিতে কৃষিকাজ করছেন। তারা দাবি করেন, এটি সরকারি খাসজমি এবং দীর্ঘদিন ধরে তারা ভোগ করছেন।
বশির মিয়া বলেন, “আমি ৬০ বছর ধরে সরকারি জমি ভোগ করছি। জায়দা বেগমের কিভাবে দলিল হলো তা বুঝি না। আদালতে আমি আবেদন করেছি।”
এ বিষয়ে মুসাহিদ আহমদ জানান, “আমাদের কাছে বৈধ দলিল ও নামজারি রয়েছে। তবুও আমাদের জমি দখল করে রেখেছে। আমরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি, কিন্তু প্রতিপক্ষ আদালতের আদেশ মানছে না।”
স্থানীয়রা জানান, বিরোধপূর্ণ এই জমি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা চলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ছাড়া সমস্যা সমাধান কঠিন।
একুশে সংবাদ/মৌ.প্র/এ.জে