গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় জুয়া খেলার তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে জুয়াড়ি ও তাদের সহযোগীরা সাংবাদিক জালাল উদ্দিন প্রামানিকের ওপর হামলা চালিয়েছে । এসময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় জুয়াড়িচক্র।
তিনি সাদুল্লাপুর উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রতিনিধি।
মঙ্গলবার (১৩ মে ) উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের ধারাই চতরা মেলায় পুলিশের মৌন ভূমিকায় বেশ কয়েকদিন থেকে প্রকাশ্যে ছয়গুঁটির জুয়া খেলা চলছিল।
এমন খবর জানতে সন্ধ্যায় সাংবাদিক জালাল ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা দেখতে পান।
এ সময় তিনি চলমান জুয়াড় আসরের তথ্য প্রমাণের জন্য ছবি ও ভিডিও চিত্র ধারন করার চেষ্টা করেন।
এরই মধ্যে পেশাদার জুয়াড়িরা তার ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এতে তিনি আহত হন।
হামলার শিকার সাংবাদিক জালাল উদ্দীন বলেন, কয়েক দিন ধরে ধারাই চতরা মেলা এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী পেশাদার জুয়াড়িচক্র নির্বিঘ্নে প্রকাশ্যে ছয়গুঁটির জমজমাট জুয়াড় আসর চালিয়ে আসছিল। এমন খবর পেয়ে মেলায় গিয়ে জুয়াড় আসরের ছবি তুলতে গেলে বাধা দেয় সংঘবদ্ধ জুয়াড়ীরা।
এ নিয়ে জুয়াড়ীদের সাথে তুমুল বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ওপর হামলা চালায় ।
পরে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ফিরে ধাপেরহাট ফাড়ি থানায় এব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানান তিনি। কিন্তু এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনার বিষয়ে পুলিশ কোন কার্যকরি ব্যবস্থা না নেওয়ায় সাংবাদিক মহলে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া ন্যাক্কারজনক এঘটনায় তীব্র ও নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন,অনতিবিলম্বে ঘটনার সাথে জড়িত দোষি ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান।
আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার উদ্দেশ্যে তারা হুশিয়ারী উচ্চারন করে আরো বলেন,এহেন ঘটনার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের কোন আন্দোলন সংগ্রাম করতে রাজপথে দাঁড়াতে বাধ্য করবেন না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, সাদুল্লাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজ উদ্দিন খন্দকার বলেন,সাংবাদিকের ওপর হামলার খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এঘটনার সাথে জড়িত সে যেই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
একুশে সংবাদ/গা.প্র/এ.জে
একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
