পটুয়াখালীর বাউফলে ছাগলে ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে গুরুতর আহত এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। নিহত ব্যক্তি শাহ আলম রাড়ী (৫৫) ছিলেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের কায়না গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২১ মার্চ সকালে কায়না গ্রামের গবিন্দ ঘরামি (৩৫) ও শাহ আলম রাড়ীর পরিবারের মধ্যে ছাগলে ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় গবিন্দ ঘরামির নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে শাহ আলমের পরিবারের ওপর হামলা করে। হামলায় শাহ আলম গুরুতর আহত হন। পরে তাকে স্থানীয় বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়, কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় প্রথমে বরিশাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কয়েক দফা অস্ত্রোপচারের পরও তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে, তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) সকাল ৭টার দিকে শাহ আলম মারা যান।
ঘটনার দিন শাহ আলমের স্ত্রী নাজমা (৪৫) বেগম এবং ছেলে রাকিব (২০)ও আহত হন। তাদের বিরুদ্ধে ২৩ মার্চ বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। তবে নিহতের পরিবার অভিযোগ করছে যে, ঘটনার পর থেকে বাউফল থানার পক্ষ থেকে কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. মাসুদ খলিফা জানান, এখন পর্যন্ত ৪ নম্বর আসামী জামিন নিতে গিয়ে আদালতে গ্রেপ্তার হলেও বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি।
নবাগত বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আক্তারুজ্জামান জানিয়েছেন, ঘটনার পর খবর পেয়ে তারা লাশ উদ্ধার করে পটুয়াখালী মর্গে পাঠিয়েছেন। মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ৩ আসামী গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।
একুশে সংবাদ//প.প্র/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :