AB Bank
ঢাকা শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সমকালীন রাজনীতি: এগিয়ে আ.লীগ, বেকাদায় বিএনপি


Ekushey Sangbad
হাসান কাজল
১০:৩৭ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪
সমকালীন রাজনীতি: এগিয়ে আ.লীগ, বেকাদায় বিএনপি

  • দলীয় শাসন অব্যাহত থাকায় যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে
  • রাজপথে দাড়াতে পারেনি বিএনপি
  • বিএনপির বিরুদ্ধে ‘পদ বাণিজ্য’ এর অভিযোগ

সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একদিকে উন্নয়ন অপরদিকে নির্বাচন বর্জন। প্রধান দুই দলের মাঝে দীর্ঘ সময়ের টানাপোড়েন চলছে। শাসকদল টানা ৪র্থবারসহ ৫মবারের মতো সরকার গঠন করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছ। রাজপথের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি নির্বাচন বর্জনসহ ব্যর্থ আন্দোলনে নিজেদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছেন বলে মন্তব্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

দেশি-বিদেশী বেশ ক’জন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতামত থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে বর্তমানে নিয়ন্ত্রিত গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা বিদ্যমান। তারা বলেন, 

দীর্ঘ সময় এক দলীয় শাসন অব্যাহত থাকায় যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে সারা দেশে। বিশেষ করে আধুনিক যোগাযোগে যুগান্তকারী সাফল্য এসেছে বলে মনে করেন তারা।

১৯৯৬ সালের ২৩ জুন শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। তার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সে বছরের ১২ জুনের সংসদ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল। ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হয়। শেখ হাসিনা বিরোধীদলের নেতা নির্বাচিত হন। ২০০৬ সালে রাজনৈতিক জটিল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পরে সামরিক বাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। প্রায় দুই বছর ক্ষমতায় থাকার পর ওই সরকার ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করে। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা ‘দিন বদলের সনদ রূপকল্প ২০২১’ উপস্থাপন করেন।

অপরদিকে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আন্তরিন হলে দলের অবস্থা নড়বড়ে হয়ে পরে। দলের চেয়ারপার্সনের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন হয়ে দলের হাল ধরেন লন্ডনে অবস্থানরত দন্ডপ্রাপ্ত জিয়া পরিবারের বড় সন্তান তারেক রহমান। বিদেশের মাটিতে বসে দেশর রাজনৈতিক মাঠ ধরেরাখাটা হয়ে পরে তার জন্য দুরুহ এবং দুসাধ্য। জানা গেছে, 

২০০৮ সালের পর থেকে কখনো নির্বাচনে পরাজয় আবার কখনো নির্বাচন বর্জন ধারাবাহিক ব্যর্থতা যোগ হতে থাকে বিএনপির হিসেবের খাতায়। রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামেও সুবিধা করতে পারেনি দলটি। পর্যাপ্ত নেতাকর্মী ও জনসমর্থন থাকার পরও কখনোই রাজপথে দাড়াতে পারেনি বিএনপি।

রাজনৈতিক অভিজ্ঞমহল মনে করেন, নেতৃত্বের দুর্বলতা, সাংগঠনিক ব্যর্থতা ও দুর্নীতির কারণেই ন্যৈদশায় পতিত হয় বিএনপি। বিরোধীদলের এই দুঃসময়ে তাদের প্রতি নিজ দলের নেতাকর্মীদের অভিযোগের তীর ‘পদ বাণিজ্য’! দলের অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, একশ্রেণির নীতি নির্ধারণী নেতৃত্ব দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। ভুক্তভোগী নেতাকর্মীরা বলেন, টাকার বিনিময়ে অযোগ্যরা পদ কিনে নেয়। এসব কারণে, সৎ, যোগ্যরা কোনঠাসা হয়ে পরে ও দলের সাংগঠনিক ভীত দুর্বল হয়ে পড়েছে।

সাম্প্রতিক রাজনীতি নিয়ে দেশের প্রধান দুই দলের সাধারণ সম্পাদক ও মহাসচিবের বক্তব্য থেকে ভিন্ন মত্রার দুই চিত্র দেখতে পায় জাতি। সংসদের বাইরে থাকা অন্যতম প্রধান বিরোধীদল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ’ডামি’ নির্বাচন আখ্যা দিয়ে সরকারকে দখলদার ও নব্য বাকশালী শাসক হিসেবে বিবৃতি প্রদান করেন অপরদিকে শাসকদল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মির্জা ফখরুল পালিয়েছিলেন উল্লেখ করে বলেন আমরা কোন চাপের মুখে সংবিধানের বাইরে যাব না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। যত ষড়যন্ত্র হোক, বিদেশি শক্তির চাপ আসুক আমরা সংবিধানের বাইরে যাব না। শুক্রবার বিকালে তেজগাঁওয়ের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আলোচনায় সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৮ অক্টোবর পালিয়ে গিয়েছিলেন। অথচ এখন তিনি বেসামাল হয়ে আওয়ামী লীগকে আক্রমণ করছেন। আমি তাকে বলতে চাই, আজ বন্দিদের মুক্তি নিয়ে কথা বলতে লজ্জা করে না? জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের ৬২ হাজার নেতাকর্মীকে জেলে দিয়েছিলেন। আপনাদের (বিএনপি) কতজন নেতা জেলে আছে? আমাদের তিন হাজার নেতাকর্মী ও সরকারি অফিসারদের গুম করেছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি নাস্তা খেতে খেতে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের ফাঁসি দিয়েছিলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 

মির্জা ফখরুল সাহেব বলে আমাদের নাকি প্রতিবেশী দেশ নিয়ন্ত্রণ করে। ফখরুল সাহেব বিদেশি কোনো শক্তি নয়, আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে দেশের জনগণ ও সংবিধান। আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি ও জয় বাংলার চেতনা। শেখ হাসিনাকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তিনি ষড়যন্ত্র ও বিদেশি শক্তির পরোয়া করেন না। তিনি বাংলাদেশের জনগণকে পরোয়া করেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আজকে অনেকে বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নাকি স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। এই কথা সত্য নয়। ১১ হাজার স্বাধীনতাবিরোধী কারাগারে ছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে তাদের মুক্ত করে দেন। যার মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিল ৭১৩ জন। এই ইতিহাস ভুলে গেছেন? আমি কি মিথ্যা বলেছি? জিয়া কী করেছিল এর প্রমাণ আছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের গত ৪৪ বছরে সবচেয়ে সাহসী রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। এই সময়ে বছরের সবচেয়ে বিচক্ষণ, দক্ষ প্রশাসক, জনপ্রিয় ও সফল কূটনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। ৪৪ বছরের ইতিহাসে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর দেশের যে পরিবর্তন হয়েছে, সেই পরিবর্তনের রূপকার শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ম্যাজিক অব পলিটিক্স। সারা বিশ্বের বিস্ময়। উন্নয়ন আর অর্জনে শেখ হাসিনা। তিনিই সংগ্রাম করে গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করেছেন।
দেশে ’নব্য বাকশালী’ চলছে- মির্জা ফখরুল

১৭ মে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর বলেন, 

‘ডামি’ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে মিথ্যাচার, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অপকৌশলের মাধ্যমে বিএনপিসহ গণতন্ত্রমনা বিরোধী দল, ভিন্ন মত ও পথের মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় সাজা প্রদানসহ জামিন নামঞ্জুর করে বিরোধী নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে দখলদার আওয়ামী সরকার দেশে ‘নব্য বাকশালী’ শাসন কায়েম করেছে।

 

একুশে সংবাদ/হ.ক.প্র/জাহা 

Link copied!