AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আনোয়ারায় নানা হয়রানির বেড়াজালে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা


আনোয়ারায় নানা হয়রানির বেড়াজালে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন পল্লী বিদ্যুৎতের গ্রাহকরা। অনলাইনে আবেদন করে মাসের পর মাস চলে গেলেও সংযোগ পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। এছাড়া এক মাসের বিদ্যুতের বিল বকেয়া থাকলেও অকারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন, নতুন সংযোগ বা মিটার পেতে ঘুষ বাণিজ্য, সংযোগ বিচ্ছিন্ন মিটারগুলো টাকা পরিশোধ করলেও নতুন করে সংযোগ দিতে দিনের পর দিন হয়রানিসহ শত শত অভিযোগ রয়েছে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের। বিদ্যুত অফিসের কোন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও কোন ধরণের তদারকি না হওয়ায় দিনে দিনে হয়রানি বাড়ছে বলে জানান গ্রাহকরা।

 

গ্রাহকদের অভিযোগ, আনোয়ারা অফিসের কর্মকর্তাদের ঘিরে একডজন খানেক দালাল ও ইলেক্ট্রিশিয়ানরা করে অফিসিয়ালি কাজগুলো। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাহিরের অবৈধ দালাল টাইপের লোকেরা বা ইলেক্টিশিয়ানরা অফিসের ফাইলপত্র নিয়ে অফিসের ভিতরে কাজ করতেছে। গ্রাহকরা গেলে চিনার কোন উপায় নেই কে অফিসের কর্মকর্তা বা কে বাহিরের লোক। এতে করে গ্রাহকদের কাজ থেকে ইচ্ছেমতো অফিস খরচের টাকা বলে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। গ্রাহকসেবা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ সচেতন মহলের। বিলের বকেয়া থাকলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা মিটারগুলোর বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করার পরে নতুন করে সংযোগ পেতে হয়রানি হতে হয় দিনের পর দিন। বিদ্যুৎ অফিসের এই সব অনিয়মের খরব প্রকাশ করায় কিছুদিন আগে এক সংবাদ কর্মীকে মামলার ভয় দেখান বিদ্যুতের এক কর্মকর্তা। বর্তমানে একটা নতুন মিটারের আবেদনের টাকা জমা হওয়ার পর ৭দিনের মধ্যে গ্রাহকের বাড়িতে বা প্রতিষ্ঠানে মিটার সংযোগ স্থাপনের কথা উল্লেখ থাকলেও আনোয়ারা অফিসে সংযোগ দিচ্ছে না তা মাসের পর মাস। তার কারণ জানতে চাইলে বিভিন্ন অজুহাতের কথা বলে হয়রানি করতে থাকে কর্মকর্তারা। 

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী কয়েকজন গ্রাহকরা জানান, অতিরিক্ত টাকা দিলে দালালের মাধ্যমে সংযোগ দিয়ে দেওয়া হয়। শহীদুল মোস্তাফা নামের এক গ্রাহক জানান, আমার পোল্ট্রি ফার্মের আবেদন করেছি  আজ ৭ মাস হচ্ছে এখনো সংযোগ পায়নি। বোয়ালিয়া গ্রামের মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন নামের আরেক গ্রাহক জানান, জুন মাসে আবেদন করে এখনো পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ পায় নাই। বৈরাগ গ্রামের মহিউদ্দীন নামের এক ভুক্তভোগী জানান, এপ্রিল মাসে অনলাইনে আবেদন করে এখনো পর্যন্ত সংযোগ পায় নাই। 

 

শোলকাটা গ্রামের মোরশেদ আলম নামের একগ্রাহক জানান, অনলাইনে মিটার সংযোগ হয়েছে দেখাচ্ছে কিন্তু তিন মাসেও সংযোগ হয় নাই। আব্দুল মালেক নামের এক গ্রাহক জানান, আমার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া না থাকলেও পাশের একজনের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় ওনার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে আমার মিটারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন পরে তা সংযোগ নিতে অহেতুক অতিরিক্ত টাকা দিয়ে অনেক হয়রানি হয়ে সংযোগ পেয়েছি। এছাড়া ও ভৌতিক বিলের কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অনেক সেবাগ্রহীতা। 

 

এব্যাপারে আনোয়ারা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল নুর চৌধুরী জানান, গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ আসলে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হতিয়ে দেখা দরকার। তা না হলে গ্রাহক হয়রানি, ঘুষবাণিজ্য, দালালদের তৎপরতা কমবে না বলে জানান। 

 

তিনি আরো বলেন, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। সেটি না করতে পারলে দুর্নীতি অনিয়ম আরো বেশি প্রসার লাভ করবে। গ্রাহকদের হয়রানি বাড়বে। যারা অফিসিয়াল লোক না তাদেরকে আলাদা অফিস নিয়ে কাজ করার জন্য ডিজিএমের নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি। এব্যাপারে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ আনোয়ারা জোনাল অফিসের ডিজিএম জসীম উদ্দীন বলেন, ওয়ারিং এর রির্পোট পেলে আমরা অনুমোদন দিয়ে দিই। তিনি কারো অভিযোগ থাকলে ডিজিএমের সাথে সরাসরি দেখা করার অনুরোধ জানান । 

 

চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার  প্রকৌশলী দীলিপ চন্দ্র চৌধুরী বলেন, কোন গ্রাহকের লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান তিনি।


একুশে সংবাদ/স ক  

Link copied!