AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আশ্রয়ণের ঘর ধ্বসে যাওয়ায় আতংক আশ্রিতদের মাঝে


আশ্রয়ণের ঘর ধ্বসে যাওয়ায় আতংক আশ্রিতদের মাঝে

বৃ‌ষ্টিতে ভে‌ঙে গে‌ছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের একাংশ। এ ঘটনায় অন‌্য বাসিন্দাদের মা‌ঝে আতংক বিরাজ কর‌ছে। স্থানীয়‌দের অভিযোগ দা‌য়িত্বরত কর্মকর্তারা নিন্মমানের সাম‌গ্রী দি‌য়ে ঘর নির্মাণ করায় এ প‌রি‌স্থি‌তির সৃ‌ষ্টি হ‌য়। ঘটনা‌টি ঘটেছে, কুড়িগ্রা‌মের উলিপুর উপ‌জেলা হা‌তিয়া ইউনিয়‌নের ওলামাগঞ্জ গ্রামে। 

 

‘মুজিববর্ষের অঙ্গিকার, গৃহ হবে সবারথ প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উলিপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পূনর্বাসনের জন্য সে সময় ‘কথ শ্রেণির ৩৫০ পরিবারকে দুই শতক জমির মালিকানাসহ ৩৯৪ বর্গফুট আয়তনের দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি করে সেমি পাকা ঘর উপহার দেওয়া হয়। প্রতিটি ঘরে তিন ফুট প্রস্থ ৬ ফুট উচ্চতা একটি দরজা, চারটি জানালা, একটি রান্না ঘর ও একটি বাথরুম রয়েছে।

 

স‌রেজ‌মিন ঘুরে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, হাতিয়া ইউনিয়‌নের ওলামাগঞ্জ গ্রা‌মে ১০‌টি আশ্রয়‌ণের ঘর রয়ে‌ছে। প্রায় দুই বছর আগে ঘরগু‌লো নির্মাণ করা হ‌লেও নিন্মমা‌নের কাজ হ‌ওয়ায় আতংকে সেখা‌নে বসবাস করেন না বে‌শিরভাগ সু‌বিধা‌ভোগী। শনিবার (১০ জুন) সকালে বৃষ্টি হ‌লে প্রক‌ল্পের একটি‌ ঘরের একাংশ ভে‌ঙে যায়। ঘর‌টি আবুল হোসেন নামের এক ব‌্যক্তির না‌মে বরাদ্দ। ত‌বে তি‌নি ওই ঘ‌রে বসবাস ক‌রেন না ব‌লে জানান স্থানীয়রা। এছাড়াও অন‌্য ঘরগুলোর বি‌ভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দেওয়ায় বা‌সিন্দা‌দের মা‌ঝে আতংক বিরাজ করছে।

 

এ সময় কথ‌া হয় আশ্রয়‌ণের বা‌সিন্দা ন‌ছিয়া বেগ‌মের স‌ঙ্গে। তি‌নি জানান, এখানে ১০‌টি ঘর র‌য়ে‌ছে। ঘরগু‌লোর ভেত‌রে বি‌ভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দি‌য়ে‌ছে। আমার না‌মে ঘর বরাদ্দ থাক‌লেও ভ‌য়ে এ ঘ‌রে থা‌কি না।

 

আরেক বা‌সিন্দা আব্দুর রাজ্জাক জানান, তার স্ত্রীর মাথায় টয়লে‌টের ছাদ প‌ড়ে গুরুত্বর আহত হ‌য়ে‌ছিলেন। কোন রকম বেঁচে গে‌ছেন। ভ‌য়ে এখন তারা ঘ‌রে থা‌কেন না। এছাড়াও প্রক‌ল্পের ঘ‌রের বা‌সিন্দা শুকর আলী, আলতাফ হোসেন ও রুহুল আমিন জানান, প্রায় ২ বছর আগে ঘরগুলো হস্তান্তর করা হ‌লেও বসবাস ক‌রে পাঁচ‌টি প‌রিবার। এতগু‌লো প‌রিবা‌রের জন‌্য এক‌টি নলকুপ। নেই বিদ‌্যুৎ সং‌যোগ। এখানে বসবাস করা অনেক কষ্টকর ব‌লেও জানান তারা।

 

উপ‌জেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সিরাজুদ্দৌল্লা ব‌লেন, বিষয়‌টি আমার জানা নেই, এই প্রথম শুনলাম।

 

উপ‌জেলা নির্বাহী অফিসার শোভন রাংসা ব‌লেন, ওই ঘরগুলো নির্মাণের সময় আমি ছিলাম না। তবুও ঘরগুলো পরিদর্শন করে সংস্কার করে দেওয়া হ‌বে।

 

একুশে সংবাদ/ক.স.প্র/জাহা

Link copied!