বগুড়ার ধুনট উপজেলা থেকে অটোভ্যান চুরি মামলার এক আসামি পালিয়ে যাওয়ায় এক পুলিশ কর্মকর্তা ও দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তারা হলেন, ধুনট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম, কনস্টেবল মোত্তালিব ও শাহাদত হোসেন।
বুধবার (৭ জুন) দুপুরের পর ধুনট থানা থেকে তাদের প্রত্যাহার করে বগুড়া পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ধনট থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মানিকপোটল গ্রামের আব্দুস সোবহানের একটি অটোভ্যান সোমবার দুপুরের দিকে মরিচতলা বাজার এলাকা থেকে চুরি করে দূবৃর্ত্তরা।
এ অবস্থায় সংঘবদ্ধ চোরেরা চুরি করে নেওয়া অটোভ্যানটি একই এলাকার মথুরাপুর বাজারে বিক্রয়ের চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মিনু মিয়া (৩৬) ও সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার মেঘাই চান মিয়ার ছেলে শাকিল (২৪) ও একই গ্রামের সোহাগ বাবুকে (৩০) আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে তারা পুলিশে খবর দেয়।
সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ মথুরাপুর বাজার এলাকা থেকে আটক তিন ব্যক্তিকে জনতার হাত থেকে থানা হেফাজতে নেয়। কিন্তু জনতার গণধোলাইয়ে অসুস্থ সোহাগ বাবুকে ধুনট থানা থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার প্রস্তুতিকালে থানার প্রধান ফটকে এসআই শহিদুল ইসলামের হাত থেকে সোহাগ বাবু পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় অটোভ্যানের মালিক বাদি হয়ে মঙ্গলবার থানায় মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে মিনু মিয়া ও শাকিলকে মঙ্গলবার দুপুরের পর আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় মামলার বাদি অটোভ্যান চালক আব্দুস সোবহান বলেন, চুরি যাওয়া অটোভ্যান সহ তিনজনকে আটক করেছিল পুলিশ। এরমধ্যে সোহাগ বাবু নামে একজন পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম বলেন, আসামীদেরকে দুই কনষ্টেবলের হেফাজতে দিয়েছিলাম। তাদের কাছ থেকে সোহাগ বাবু নামে এক আসামী পালিয়ে গেছে।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে বগুড়া পুলিশ সুপারের নির্দেশে এসআই শহিদুল ইসলাম ও কনষ্টেবল মোত্তালিব এবং শাহাদত হোসেনকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে বগুড়া পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/প.ক.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :