মাত্র আধাঘণ্টার ঝড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় পরিপক্ক আমের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাছ থেকে ঝরে পড়া এসব আম এখন বিক্রি হচ্ছে মাত্র সাড়ে তিন টাকা কেজি দরে। অথচ কয়েকদিন পরেই এই আম বাজারে দেড়শ টাকায় বিক্রি হতো বলে জানিয়েছেন আমচাষিরা।
শনিবার (১৭ মে) বিকেলে গোমস্তাপুর উপজেলার জাতাহারা, রহনপুর, জামতলা এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, আমচাষিরা বস্তাভর্তি আম ভ্যানে করে বিক্রি করতে নিয়ে আসছেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা রাস্তায় বসে কেজি প্রতি সাড়ে তিন টাকা দরে আম কিনে নিচ্ছেন এবং সেগুলো জেলার বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছেন।
আমচাষি আজিম আলী বলেন,“গত রাতের ঝড়ে আশ্বিনা, গোলাভোগ, খিরসাপাতসহ নানা জাতের বিপুল পরিমাণ আম পড়ে গেছে। এখনো মূল বাজার বসেনি বলে এই পরিপক্ক আমগুলো স্থানীয়ভাবে নামমাত্র দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।”
একই কথা বলেন আমচাষি রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান,“ঝড়ে পড়া আম কেউ নিতে চায় না। বাধ্য হয়ে মাত্র সাড়ে তিন টাকা কেজিতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছি।”
জাতাহারা এলাকার চাষি আব্দুল আলিম বলেন,“এক সপ্তাহ পরই এই আমগুলো বাজারে তুললে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো। কিন্তু ঝড়ের কারণে অর্ধেকের বেশি আম পড়ে গেছে। এতেই বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়লাম।”
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. ইয়াছিন আলী বলেন,“গত রাতের ঝড়ে কিছু এলাকায় বিশেষ করে গোমস্তাপুরে বেশি ক্ষতি হয়েছে। গাছ থেকে পড়ে যাওয়া এই আম দীর্ঘ সময় সংরক্ষণযোগ্য নয় বলে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।”
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে জেলায় ৩৭ হাজার ৬০৪ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। চলতি বছর আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৮৬ হাজার মেট্রিক টন।
একুশে সংবাদ/ চাঁ.প্র/এ.জে