AB Bank
  • ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

শিক্ষা উপদেষ্টার অনুরোধেও কুয়েট শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙল না


Ekushey Sangbad
কুয়েট প্রতিনিধি
১২:২২ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫

শিক্ষা উপদেষ্টার অনুরোধেও কুয়েট শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙল না

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরারের অনুরোধ সত্ত্বেও তাদের অনশন কর্মসূচি ভাঙেননি। তাঁরা দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তাদের অনশন চলতে থাকবে।

আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল পৌনে ১০টার দিকে ক্যাম্পাসে অনশনস্থলে পৌঁছান শিক্ষা উপদেষ্টা। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে তিনি শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানান, কিন্তু তাতে কোনো সাড়া মেলেনি। এই সময় তিনি শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে শোনেন এবং আইনের প্রতি আস্থা রেখে অনশন ভেঙে চিকিৎসা নিতে বলার আহ্বান জানান।

ড. রফিকুল আবরার বলেন, “তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, এবং সে কমিটি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী যারা দায়ী, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। আমি অনুরোধ করছি, যারা অসুস্থ হয়েছেন, তারা দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে যান।”

তবে শিক্ষার্থীরা উপদেষ্টার আশ্বাসে আশ্বস্ত না হয়ে তাদের অবস্থান বজায় রাখেন। তারা ঘোষণা করেন, উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তাদের অনশন চলবে। এর পরপরই শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

শিক্ষা উপদেষ্টা কুয়েটের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে অবস্থানরত আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে চলে যাওয়ার সময় বলেন, "আমি এসেছি শুধু ছাত্রদের অনশন ভাঙাতে, অন্য কারো সঙ্গে কোনো কথা নয়।" এরপর তিনি শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করেন।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২১ এপ্রিল) থেকে কুয়েটের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন শুরু করেন। এদের মধ্যে ৬ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং বর্তমানে ২৬ জন শিক্ষার্থী অনশনে আছেন।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কুয়েট ক্যাম্পাসে ১৮ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের ঘটনার পর শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা উপাচার্য, প্রো-ভিসি, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করছেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি কুয়েট সিন্ডিকেট ক্যাম্পাসের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা এবং ছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়।

১৫ এপ্রিল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয় এবং ৪ মে ক্যাম্পাসের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু এবং ২ মে হল খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এর প্রতিবাদে ১৬ এপ্রিল আন্দোলনকারীরা তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেন।

 

 

একুশে সংবাদ/ই.ট//এ.জে

Shwapno

সর্বোচ্চ পঠিত - ক্যাম্পাস

Link copied!