বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ইতিহাস বিভাগে যথাসময়ে মিডটার্ম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলে একহাজার ও দুই হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে পরীক্ষায় বসতে হবে শিক্ষার্থীদের৷ পাশাপাশি ক্লাসে ৭৫% এর নিচে উপস্থিত হলে জরমানা প্রদান সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় বসতে হবে শিক্ষার্থীদের।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল বাতেন চৌধুরী স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি নোটিশে বিষয়টি জানা যায়। জরিমানা ধার্যের এমন নোটিশ দুটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা চলছে৷ বিভাগটির শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করছেন। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।
নোটিশ দুটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির ৪২তম সভার ৮নং আলোচ্যসূচির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীদের যারা মিডটার্ম পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকবে তাদের মিডটার্ম সাপ্লিেমন্টারী পরীক্ষা দেওয়ার জন্য যথাযথ কারণ ও তথ্য প্রমাণাদি দেখিয়ে পরীক্ষা শেষ হওয়ার তারিখ থেকে ১ম সপ্তাহের মধ্যে এক হাজার টাকা এবং পরবর্তী সপ্তাহের থেকে দুই হাজার টাকা হারে জরিমানা প্রদানপূর্বক আবেদন করতে হবে।
স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষা বিধি ৫ এর ৮ এবং সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশহণের জন্য একজন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ৭৫% এর কম থাকলে উক্ত শিক্ষার্থী নন-কলিজিয়েট হিসেবে গণ্য হবে। এক্ষেত্রে উপস্থিতির হার ৬০% থেকে ৭৪% থাকলে সাতশত পঞ্চাশ টাকা জরিমানা প্রদান করে উক্ত শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং ৬০% এর কম উপস্থিতি থাকলে ডিস-কলিজিয়েট হিসেবে গণ্য হবে। উল্লেখ্য যে, একজন শিক্ষার্থীর যদি নূন্যতম ৫০% উপস্থিতি থাকে তাহলে ২,৫০০/- টাকা জরিমানা প্রদানপূর্বক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
নোটিশে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতিটি স্তরে ৫% উপস্থিতি মওকুফ করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইউসুফ হাবিব নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, সৈরাচারের দালালের কাছ থেকে এর চেয়ে ভাল কিছু আশা করা যায় না! এখনতো আর পা চাইটা ট্যাকা ইনকাম করতে পারেনা– তাইতো স্টুডেন্টদের রক্ত চুইষা ইনকামের ধান্দা করতাছে।
এ বিষয়ে বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আবদুল বাতেন চৌধুরী বলেন, "বিভাগের শিক্ষার্থীদের সার্বিক মঙ্গলের জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা অনেক সময় ইচ্ছাকৃতভাবে নানা অজুহাতে মিডটার্ম পরীক্ষায় অংশনেন না। এতে বাকি শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়েন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগেও এমন নিয়ম চালু রয়েছে।"
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :