গাইড বই না পেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রীর আত্মহত্যা
নীলফামারী: গাইড বই আর ভাল কাপর চোপড় না পাওয়ার কারনে মনের ক্ষোভে আত্বহত্যার করেছে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী মৌসুমি আক্তার। মঙ্গলবার বিকালে ঘটনাটি ঘটে নীলফামারীর ডিমলায় ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের দক্ষিন সোনাখুলি গ্রামের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে। শালতলা দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী ও উক্ত গ্রামের মৃত ঝুমুল আলী কন্যা মৌসুমী আক্তার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্বহত্যা করে। মঙ্গলবার সকালে মা তারা বানুর নিকট গাইড বই ও নতুন কাপর জন্য বায়না ধরে। তারা বানু জানায় হাতে টাকা না থাকার কারনে মেয়ের চাহিদা পুরন করতে পারব না বলে মৌসুমী জানিয়ে বাড়ীতে রেখে অন্যের জমিতে ভুট্টা ক্ষেতে কাজ করতে যাই।
বিকালে বাড়ীতে এসে দেখি নিজের ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে মেয়ে আত্বহত্যা করেছে। ৫ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে মৌসুমী সবার ছোট। ৫ ভাই বিয়ের পর আলাদা সংসার করে ও ২ বোনের বিয়ের পর তারাও শ্বশুড় বাড়ীতে। মায়ের সাথে মৌসুমী বাড়ীতে থাকত। তারা বানু অন্যের জমিতে শ্রমিকের কাজ করে মৌসুমির পড়াশুনা চালিয়ে আসছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের চাহিদা গাইড বই দিতে না পারায় অকালে প্রান দিতে হয়েছে মৌসুমীকে।
মৌসুমীর ভাই রফিকুল ইসলামের অভিযোগের ভিত্তিতে ডিমলা থানায় অপমৃত্যু মামলা নং-২ দায়ের করা হয়েছে। ডিমলা থানার এসআই ইমাদ উদ্দিন মোহাম্মদ ফারুক ফিরোজ জানায়, লাশের সুরতহালে আঘাতে চিহ্ন না থাকার কারনে লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তদন্তে জানা যায় মেয়ের গাইড বই ও নতুন কাপর কিনতে না দেয়ার কারনে মেয়েটি আত্বহত্যা করেছেন। নীলফামারীর জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন জানায়, সরকার গাইড সম্পুর্ন ভাবে নিষিদ্ধ করেছে। কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের জন্য গাইড বই বাধ্যতামুলক করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপশি দ্রুত সময়ে মধ্যে জেলার সকল লাইব্রেরী গুলোতে সরকার নিষিদ্ধ গাইড বই উদ্ধারের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হবে।
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :