নড়াইলের পল্লীতে ১২ টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট
নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চর মল্লিকপুর গ্রাম আবারও অশান্ত হয়ে পড়েছে। গ্রামের প্রতিদ্বন্ধি দুটি গ্র“প একে অন্যের মুখোমুখি হয়ে পড়েছে। বাড়ছে কোন্দল, দ্বন্ধ ও সংঘাত। স্রেফ আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা একজন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের পাঠানো তথ্য ও ছবির ভিত্তিতে জানা যায়, এর জের ধরে কমপক্ষে ১২টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। সম্ভাব্য হামলা ও লুটপাটের আশংকায় নিরীহ মানুষজন তাদের সহায় সম্বল নিয়ে গ্রাম ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছে। হামলা-মামলার ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত মল্লিকপুর ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই নেতা মনিরুল ইসলামকে আটক করেছে। গ্রামবাসী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউপি’র চেয়ারম্যানের ভাই দোয়া মল্লিকপুর গ্রামের আ’লীগ নেতা মনিরুল ইসলাম সমর্থিত লোকজনদের সাথে পাশ্ববর্তী চর মল্লিকপুর গ্রামের খান মাহমুদ সমর্থিত লোকজনদের মধ্যে দ্বন্ধ-সংঘাত চলে আসছিল। এর জের ধরে গত শনিবার (৬ ফেব্র“য়ারি) রাত ৮টার দিকে খান মফিজ হত্যা প্রচেষ্টা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী খান আলাউদ্দিন (১৬)কে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। আহতকে প্রথমে লোহাগড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য রোববার আহতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে তার আতœীয়-স্বজনরা জানিয়েছেন। খান আলাউদ্দিন চর মল্লিকপুর গ্রামের ছেকেন খার ছেলে এবং সোনাদাহ-পাচুড়িয়া দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্র। এ দিকে প্রতিপক্ষের অব্যহত হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় সোমবার রাতে ওই গ্রামের মোরাদ শেখ ও রজ্জাক খান বাদী হয়ে মল্লিকপুর ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই মনিরুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে দু’টি পৃথক মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়ের করার পরই ওই রাতেই নড়াইল জেলা ডিবি পুলিশের সহকারী উপ-পরিদশক হাসান আহম্মদের নেতৃত্বে একদল সাদা পোশাক ধারী পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই গ্রামের একটি দোকানের সামনে থেকে প্রধান আসামী মনিরুল ইসলাম (৪২) আটক করে লোহাগড়া থানায় সোপর্দ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ দিকে, সম্ভাব্য হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের আশংকায় গ্রামের নিরীহ লোকজনরা বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, লুটপাটের আশংকায় নিরীহ গ্রামবাসীরা তাদের সহায় সম্পদ দূর আতœীয়-স্বজনদের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে। লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এ প্রতিবেদক উজ্জ্বল রায়কে বলেন ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং জড়িতদের আটকের চেষ্ঠা চলছে
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :