যমুনার জলে তলিয়ে যাবে ‘তাজমহল’!
একুশে সংবাদ : পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম আগ্রার তাজমহল। সম্রাজ্ঞী মমতাজের প্রতি মোগল সম্রাট শাহজাহানের প্রেমের নিদর্শন এটি। ঐতিহাসিকরা বলেন, ২২ বছরের নির্মাণকালে শোষিত শ্রমিকের ঘামের ওপর দাঁড়িয়ে আছে কথিত এই প্রেমসমাধি। ভারতীয় উপমহাদেশের সংগীত-রূপকথারও অংশ তাজমহল। তবে এবার এই তাজমহল যমুনার জলে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ইতিহাসবিদের মধ্যে।
ভারতীয় এক পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, যমুনার জলেই কি তলিয়ে যাবে ভালবাসার গভীরতা? যমুনার জলস্তর কমছে। তাজমহলের স্থাপত্যও নাকি গভীর সঙ্কটে। চিরন্তন ভালবাসার প্রতীক এই সৌধস্তম্ভের অকাল অবসানের দিকেই আঙুল তুললেন ভারতীয় ইতিহাসবিদ। মানতে নারাজ ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ।
মমতাজ মহলকে কতটা ভালবাসতেন সম্রাট শাহজাহান? ইতিহাস সাক্ষী। তাজমহলের শ্বেতশুভ্র মসৃণ গাত্রে সেই ইতিহাসেরই পদচারণা।
১৬৩২। মমতাজের মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান শাহজাহান। স্মৃতির চিলেকোঠায় আজীবন মুড়ে রাখতে চান প্রিয়তমাকে। ডেকে পাঠালেন ইশা খাঁকে। সম্রাটের নির্দেশ, প্রিয়তমার কবরের উপর বানিয়ে দিতে হবে এমন এক সৌধ, যার গাত্রে ভালবাসার ধ্বনি গুঞ্জরিত হবে যুগ থেকে যুগান্তরে। কথা রাখলেন ইশা। অমলিন হয়ে থাকল ইতিহাস। স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ভালবাসাও হয়ে থাকল অকৃপণ।
সেই ভালবাসার গভীরতাই কমে আসছে। যমুনার জলস্তর কমার সঙ্গে সঙ্গেই। গভীর সঙ্কটে পৃথিবীর অন্যতম সেরা স্থাপত্য। দাবি হাজি তাহিরুদ্দিন তাহিরের। তাজমহলের ইতিহাস নিয়েই যাঁর চর্চা। তবে তাহিরের দাবির সঙ্গে একমত নয় ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ। তাহিরের দাবির সঙ্গে বৈজ্ঞানিক কোনও ব্যাখ্যা নেই বলে জানিয়েছেন আগ্রার এএসআই সুপারিন্টেন্ডেন্ট।
তবে তাদের দাবি, জলস্তর নয়, বরং যমুনার জলদূষণ মূল্যবান সাদা মার্বেল পাথরকে নষ্ট করে দিতে পারে বলে মত পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের।
একুশে সংবাদ/এম/ইয়াসমিন/০৯/০৭/১৫
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :