মেহেরপুরের আমঝুপির নীল কুঠির ধ্বংসের মুখে
একুশে সংবাদ : কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা আর অবহেলায় হারিয়ে যেতে বসেছে মেহেরপুরের আমঝুপির নীল কুঠির। ধ্বংসের মুখে রয়েছে ঘোড়াশাল ও আমলা ভবন। দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
ব্রিটিশ শাসনামলে নীল চাষের লক্ষ্যে ইংরেজরা মেহেরপুরে গড়ে তোলে নীল কুঠি। এক সময় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থী নীলকুঠি বাড়ি দেখতে আসলেও এখন আর দর্শনার্থীদের দেখা মেলে না।
সরকারের উদাসীনতা এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অনেক জায়গাই বেদখল হয়ে গেছে। বাকিটাও ধ্বংস হতে চলেছে। সময়ের প্রবাহে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ঘোড়াশাল ও আমলা ভবন। জৌলুস হারিয়ে এখন পরিত্যক্ত ও জরাজীর্ণ অবস্থা নীল কুটিবাড়ী সংলগ্ন স্থাপনার। চুরি হয়ে গেছে দরজা, জানালা। খসে পড়েছে ইট। সংরক্ষণে নেই সরকারি কোন নজরদারিও।
একদিকে প্রচারের অভাব অন্যদিকে নীল কুঠির অভ্যন্তরে দেখার কোনো সুযোগ না থাকায় আগ্রহ হারাচ্ছেন পর্যটকরা। নীল কুঠিরকে ঘিরে গড়ে উঠা নানা স্থাপনার সংরক্ষণ প্রয়োজন বলে মনে করে এখানে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা। অবশ্য মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক সফিকুল ইসলামের দাবি, নীল কুঠির সংরক্ষণাবেক্ষণের সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
১৭৭৮ সালে ক্যারল ব্লুম নামের এক ইংরেজ তৎকালীন নদীয়া জেলা বর্তমানে মেহেরপুরের আমঝুপির কাজলা নদীর তীরে ৭৪ একর জমির ওপর নীলকুঠি স্থাপন করেন। ১৭৯৬ সালে এখানে নীল চাষ শুরু হয়। বলা হয়ে থাকে আমঝুপির নীল কুঠিতেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রবার্ট ক্লাইভের সাথে মীরজাফরসহ ষড়যন্ত্রকারীদের শেষ বৈঠক হয়েছিল।
একুশে সংবাদ ডটকম //এ// ১৭-০৪-১৬
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :