AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

শেরপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে রাজার পাহাড়


Ekushey Sangbad
মো: আসিফ, শ্রীবরদী, শেরপুর
১০:৩৬ এএম, ২২ জানুয়ারি, ২০২৪
শেরপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে রাজার পাহাড়

মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তবর্তী প্রান্তিক শেরপুর জেলা। সেখানেই আছে সুবিশাল ও রোমাঞ্চকর রাজা পাহাড়। পর্যটকদের কাছে শেরপুরে অন্যতম আকর্ষণ হলো রাজার পাহাড়।

শেরপুরের রাজার পাহাড়ে গিয়ে যা দেখবেন রাজার পাহাড়, নাম শুনলেই নিশ্চয়ই কল্পনায় ভেসে ওঠে কোনো রাজা সিংহাসন পেতে বসে আছে পাহাড় চূড়ায়! যদিও এখন সেখানে গেলে রাজার দেখা মিলবে না; তবে প্রাচীনকালে এই পাহাড়ের গায়ে এক স্বাধীন রাজ্য ছিল। যার রাজা ছিলেন অত্যন্ত প্রতাপশালী। পরে তার নামানুসারেই এ পাহাড়ের নাম হয় রাজার পাহাড়।

শেরপুর জেলার শ্রীবরদী পৌর শহর থেকে মাত্র ১৮কিলোমিটার দূরে বালিজুরী /অফিসপাড়া সংলগ্ন এলাকায় রাজার পাহাড়ের অবস্থান। স্থানীয়দের কাছে এটি জনপ্রিয় বিনোদন স্পট নামে পরিচিত লাভ করেছে। বছরে প্রায় সব সময়ই শত শত মানুষ রাজার পাহাড়ের দেখতে আসে ,।

গারো পাহাড়ে যতগুলো পাহাড় আছে তার মধ্যে রাজার পাহাড়ের উচ্চতা সবচেয়ে বেশি। এ পাহাড়ের বৈশিষ্ট সিলেট বা বান্দরবানের পাহাড়ের মতো না হলেও, সবুজের ঐশ্বর্যে সে কারও চেয়ে কোন অংশে কম নয়।

রাজার পাহাড়ের উৎপত্তি নিয়ে কিংবদন্তি অনেক ঘটনা আছে। স্থানীয়দের মতে, অতীতে পাগলা দারোগা নামে এক ব্যক্তি রাজার পাহাড়ের চূড়ায় বসবাস শুরু করেন। এখনও তার সন্তানেরা এই অঞ্চলে ।

তারাই এ পাহাড়ের কোণায় গড়ে তোলেন বিভিন্ন ফলের বাগান। পরে স্থানীয় আদিবাসীরাও এসব ফলের বাগান করা শুরু করে। রাজার পাহাড়ে এর বিভিন্ন কোনায় দেখা মিলবে- আম, কাঁঠাল, লিচু ও কলার বাগানের পাশাপাশি ঔষধি গাছ।

রাজার পাহাড়ের আকার দেখলেই বোঝা যায়, গারো পাহাড়শ্রেণির মধ্যে এটি আসলেই এক রাজা। এর চূড়ায় আছে শতাধিক হেক্টরের সবুজে ছাওয়া সমতল ভূমি। পাহাড়ের উপরে উঠলেই দূরের আকাশকে কাছে মনে হয়।

এ পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে দেখা যায় হালুয়াহাটি , আশপাশের কর্ণঝোড়া, মালাকোচা, দিঘলাকোনা, হারিয়াকোনা, চান্দাপাড়া, বাবেলাকোনাসহ ভারতের সীমান্ত এলাকা। পাহাড়ের নিচ দিয়েই কুলকুল শব্দে বয়ে চলেছে ঢেউফা নদী। বর্ষাকালে ঢেউফা নদীর সৌন্দর্য দ্বিগুণ বেড়ে যায়।

শীতে আবার নদী হয় শীর্ণকায়া। তবে খরস্রোতা এই পাহাড়ি নদীর পানি কখনই কমে না। এর বুকের বিশাল বালুচর দেখলে মনে হবে যেন পাহাড়ের কূলঘেষা এক বিকল্প সমুদ্র সৈকত।

রাজার পাহাড়ের পাশেই আছে আদিবাসী জনপদ বাবেলাকোনা। অসংখ্য উঁচু টিলায় ঘেরা এই গ্রামে বাস করে গারো, হাজং ও কোচ অধ্যুষিত আদিবাসীরা। এ জনপদ যেন বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের চলমান জীবন সংগ্রামের এক বিরল দৃষ্টান্ত।

আদিবাসীদের সংস্কৃতি, সংরক্ষণ ও চর্চার কেন্দ্র হিসেবে সেখানে আছে বাবেলাকেনা কালচারাল একাডেমি, জাদুঘর, লাইব্রেরি, গবেষণা বিভাগ ও মিলনায়তন। এখান থেকে আদিবাসীদের সম্পর্কে জানতে পারবেন অনেককিছু। পাহাড়ের 

দুই পাশে রয়েছে হাইওয়ের রাস্তা দেখলে মনে হবে যেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা তে রয়েছেন, এছাড়াও রয়েছে, আরো অনেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার মতো দর্শনীয় স্থান।

একুশে সংবাদ/এস কে 

Link copied!