সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়লো স্বাগতিকরা। মাশরাফিদের সিলেট স্ট্রাইকার্সকে রীতিমত উড়িয়ে দিল রংপুর রাইডার্স। আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ৯২ রানে থামে স্বাগতিকরা। জবাবে ২৬ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতেছে সোহানের দল।
টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিকরা। শুরু থেকেই আক্রমণাত্নক ব্যাটিংয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে মাশরাফিরা। প্রথম ওভারেই ২ রান করে আজমত উল্লাহর বলে আউট হন ওপেনার টম মুরস। পরের ওভারে মেহেদীর বলে বাউন্ডারি লাইনে শোয়েবের ক্যাচে পরিণত হন শান্ত। করেন ৯ রান।
পরের ওভারে আজমতউল্লাহ তুলে নেন আরও দুই উইকেট। তৌহিদ হৃদয় এবং মুশফিকুর রহিম দুইজনকে শূন্য রানে শিকার করেন এই পেসার। পরের ওভারে জাকির হাসানকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন শেখ মেহেদী। রংপুরের অধিনায়ক সোহানের দুর্দান্ত স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন জাকির। থিসারা ৩ এবং ইমাদ ওয়াসিম ১ রান করে ফেরেন। এক পর্যায়ে ১৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বিপিএলের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে আউট হওয়ার শঙ্কায় পড়ে সিলেট।
ওই পর্যায় থেকে দলকে বাঁচালেন মাশরাফি ও তানজিম। অষ্টম উইকেট জুটিতে ৪৮ রান যোগ করে সর্বনিম্ন স্কোরের লজ্জা এড়ায় দলটি। মাশরাফি ২ ছয়ে ২১ বলে ২১ রান করে ফিরলে ভাঙে জুটিটি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার থেকে ৯ উইকেটে ৯২ রান তুলতে পারে সিলেট।
রংপুরের পক্ষে এদিন আজমতউল্লাহ এবং হাসান মাহমুদ ৩টি করে উইকেট শিকার করেন। এছাড়া শেখ মেহেদী ২টি এবং হারিস রউফ ১ উইকেট শিকার করেন।
৯৩ রানের লক্ষ্যে নেমে রংপুরের ওপেনার নাঈম শেখ ও রনি তালুকদারের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২৭ রান। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন নাঈম। এরপর ১২ বলে ৮ রান করে ফেরেন মেহেদী হাসান। মাশরাফির বলে শোয়েব মালিকও ডাক মারেন।
১৭ রানের মধ্যেই তিন উইকেট হারানো রংপুরকে আগলে রাখেন রনি রনি তালুকদার। এই ব্যাটার শেষ অবধি অপরাজিত থেকে ১ চার ও ২ ছক্কায় ৩৭ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষদিকে ১৩ বলে ১৮ রান করে তাকে সঙ্গ দেন মোহাম্মদ নাওয়াজ।
একুশে সংবাদ/এসএপি