AB Bank
ঢাকা শনিবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি মূল্য আরও বাড়ল


Ekushey Sangbad
আমিনুল হক ভূইয়া
০৫:৩০ পিএম, ২৮ আগস্ট, ২০২৩
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি মূল্য আরও বাড়ল

গত ১৯ আগস্ট পেঁয়াজ রফতানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ভারত। তার মাত্র আটদিনের মাথায় পেঁয়াজ রপ্তানিতে ফের শুল্ক বাড়ালো ভারত সরকার। যেখানে প্রতিটন পেঁয়াজ বর্তমান অ্যাসেসমেন্ট (assessment) মূল্যায়ন ধরা হয়েছে ৩৩০ ডলার। তার ওপর ৪০ শতাংশ কর পরিশোধ করতে হবে। 

 

নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যে মূল্যেই এলসি করা হোক না কেন ভারতীয় কাস্টমস প্রতিটন পেঁয়াজে ৩৩০ মার্কিন ডলার শুল্কায়ন মূল্য ধরে শুল্ক পরিশোধ করে পেঁয়াজ রফতানি করতে হবে। ভারতের কৃষি পণ্যের মূল্য নির্ধারণি সংস্থা নতুন এই শুল্কায়ন নির্ধারণ করেছে।

 

ভারত সরকারের জারি করা নতুন এসআরও অনুযায়ী বাংলাদেশের একাধিক ব্যবসায়ী সোমবার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির এলসি ঋণপত্র খুলেছেন।

 

ব্যবসায়ী মহসিন খান বলেছেন, সম্প্রতি পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ করারোপের পর নতুন করে প্রতিটন পেঁয়াজ ৩৩০ ডলার মূল্যায়ন করেছে। সে অনুযায়ী তিনি ৩০ টন পেঁয়াজের আমদানি ঋণপত্র খুলেছেন। 

 

ঢাকার শংকর এক্সিম এর কর্ণধার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শংকর চন্দ্র ঘোষ একুশে সংবাদ.কমকে বলেন, এই  মৌসুমে প্রতিবছরই পেঁয়াজ-রসূনের দাম বাড়ে। স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের চাহিদার বিপরীতে বাংলাদেশে উৎপাদন কম। প্রতি বছরই পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। প্রকার ভেদে বর্তমান বাজারে ৪০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি ধরে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজের দাম আরও বেশি। যদিও পেঁয়াজ উৎপাদনের দিক থেকে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশে^ সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদনের দেশ চীন ও ভারত।

 

শংকর চন্দ্র ঘোষ বলেন, পেঁয়াজ আমদানিতে শীর্ষ অবস্থানে বাংলাদেশ। কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাবে দেশে এখন সাড়ে ৩৩ লাখ টনের বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। বর্তমানে ৭ থেকে ৮ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়।

 

ভারতে পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য বৃদ্ধি এবং ৪০ শতাংশ করারোপের ফলে প্রতিকেজি পেঁয়াজের আমদানিমূল্যই পড়বে ৬৫ টাকার ওপরে। তারপর মোকাম থেকে খুচরো ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে কেজি কয়েক টাকা লাভ করবে। সেই পেঁয়াজেই প্রতিকেজি বিক্রি হবে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। 

 

নতুন শুল্ক আরোপের এসআরও  ভারতীয় সীমান্ত শুল্ক স্টেশনগুলোতে  পৌছেছে। তাতে প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ ৩৩০ টাকা রপ্তানিমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে শুল্ক আরোপের পর বাংলাদেশের বেশ কিছু ব্যবসায়ী পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে এরই মধ্যে ৩৯০ ডলারে চট্টগ্রাম বন্দর পর্যন্ত এলসি খুলেছেন।

 

এই ব্যবসায়ী আরও জানান, বাংলাদেশে দৈনিক ৩০০ ট্রাক তথা ৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী পেঁয়াজ আসলেই বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। 

 

শংকর ঘোষ বলেন, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে এলসিভ্যালু ৩৩০ মার্কিন ডলার করার পর বাংলাদেশে প্রতিকেজি পেঁয়াজ আমদানি মূল্য পরবে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। সীমান্ত থেকে এসব পেঁয়াজ  ঢাকায় পরিবহণ খরচা পড়বে প্রতিকেজি ২ টাকা। তারপর ব্যবসায়ীরা লাভ রেখে পেঁয়াজ বাজারজাত করবেন। তাতে ৭০ টাকার ওপরে ছাড়া নীচে ভারতীয় পেঁয়াজ মিলবে না।

 

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পেঁয়াজের ক্রমবর্ধমান ভোগ, উৎপাদন-পরবর্তী লোকসান, ভালোমানের বীজের অভাবসহ কয়েকটি কারণে চাহিদার তুলনায় দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি থাকছে। তাদের মতে, শুধু উৎপাদন-পরবর্তী লোকসান কমিয়ে আনা এবং উৎপাদনের পরিমাণ আরও কিছুটা বাড়ানো সম্ভব হলে কয়েক বছরেই পেঁয়াজে স্বনির্ভর হওয়া সম্ভব।

 

একুশে সংবাদ/আ.ভ.প্র/জাহা

Link copied!