AB Bank
  • ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০১ জুলাই, ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

টানেল চালু হলে আনোয়ারায় ভয়ঙ্কর যানজটের শঙ্কা


Ekushey Sangbad
আনোয়ারা উপজেলা প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম
০৫:৪৫ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২

টানেল চালু হলে আনোয়ারায় ভয়ঙ্কর যানজটের শঙ্কা

চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু টানেল চালুর মাত্র ২মাস মতো বাকি। টানেল চালু হলে আনোয়ারা প্রান্তে চাতরী চৌমুহনী মোড়ে ভয়ঙ্কর যানজটের আশাংঙ্কা করছেন আনোয়ারার  সচেতন নাগরিকরা।  

 

যদিও আনোয়ারা প্রান্তের পিএবি সড়ক ছয় লেনের উন্নীত করার কাজ প্রায় ৬০শতাংশ শেষের পথে। কিন্তুু চৌমুহনী মোড়ে অধিকতর অধিগ্রহণ করে সড়কের ছয় লেনের বাইরে গাড়ী পাকিং, হাঁটা চলার রাস্তা, গাড়ী দাড়িয়ে যাত্রী উঠা নামা করাসহ অধিক জায়গা অধিগ্রহণ করা না গেলে তীব্র যানজট লেগেই থাকবে বলে জানান সচেতন নাগরিকগন।

 

আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সাবেক চেয়ারম্যান ইন্জিনিয়ার দেলোয়ার মজুমদার বলেন, যারা টানেল ব্যবহার করবেন তারা মূলত তাড়াতাড়ি গন্তব্য পৌঁছানোর জন্যই করবেন। এখন যদি টানেলের প্রবেশ পথ বা বাহিরের পথ অথবা চাতরী চৌমুহনী মোড়ে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। তাহলে নাগরিকরা টানেলের সুফল পাবে না। একই সাথে গাড়ি চালকরা টানেল ব্যবহারে উৎসাহ হারাবেন।

 

স্থানীয়রা জানান, ইকোনোমিক জোন, কেইপিজেড, কাফকো, সিইউএফএলসহ হাজার হাজার গাড়ি এ সড়ক দিয়ে চলাচল করছে। টানেল পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথম বছরেই অন্তত ৬৩লাখ গাড়ি চলাচল করবে। কিন্তুু হাজার হাজার জনসমাগম এই এলাকাটিতে অধিকতর অধিগ্রহণ না করলে কোথায় মানুষ হাটা চলা করবে, পারাপার হবে, গাড়ীতে উঠা নামা করবে, গাড়ি পাকিং করবে, গাড়ী দাড়ানোসহ সব মিলিয়ে পুরো চৌমুহনী হ-য-ব-র-ল অবস্থা তৈরী হবে। টানেলকে ঘিরে আনোয়ারা অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞ যেহারে বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তাতে মনে হয় অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটবে আনোয়ারায়।

 

এছাড়াও আনোয়ারায় রয়েছে পারকী সমুদ্র সৈকত, কোরিয়ান ইপিজেড, চায়না ইপিজেড, সিইউএফএল, কাফকো তাছাড়া বাড়তি চাপে পড়বে আনোয়ারা দিয়েই কক্সবাজার, বাঁশখালী ও মাতারবাড়ী বিদ্যু কেন্দ্র ও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের যাতায়াতের লক্ষ লক্ষ গাড়ি।

 

বুয়েটের প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এম শামসুল হক বলেন যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ও বড় যোগাযোগ অবকাঠামো তৈরির সময় সেটাকে ওই অঞ্চলের সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থার সুষ্ঠু ও দীর্ঘমেয়াদী সমাধান হিসেবে পরিকল্পনা করতে হয়। তা বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পে ছিল না।

 

তিনি বলেন প্রকল্পটির সমীক্ষার সময় চট্টগ্রাম শহরের দিক থেকে বা দক্ষিণ চট্টগ্রামে শিল্পায়নের পর ওই অঞ্চল থেকে টানেলে কি পরিমাণ গাড়ীর চাপ হতে পাড়ে এসব কিছু আনা হয়নি। অথচ টানেলে ২০৩০ সাল থেকে বছরে ১ কোটি ৩৯ লাখ গাড়ি চলাচল করতে পারে বলে এক সমীক্ষায় ধারনা দেওয়া হয়েছে। এতো বিনিয়োগ করে আমাদের নদীটা পার হওয়ার সমাধান দিল। কিন্তুু সরকারের যে উন্নয়ন দর্শন সেটা সমীক্ষায় আনা হল না।

 

রাজধানীতে তৈরি সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামোর উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ঢাকার প্রত্যেকটা প্রজেক্ট নেওয়ার সময় বলা হয় এটা হলে যানজট দূর হয়ে যাবে কিন্তুু হয় নাই। যে কোনোভাবে যানজট মুক্ত করতে অধিকতর অধিগ্রহণ করে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহন করলে যানজট মুক্ত হবে বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ।

 

এ ব্যাপারে আনোয়ারা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সভাপতি আব্দুল নূর চৌধুরী জানান, সড়ক ও জনপদ বিভাগে যারা বর্তমান সার্ভেয়ার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উচিত চৌমুহনী বাজারের সর্বশেষ উত্তর মাথা থেকে নিয়ে কালা বিবি দিঘির মোড় পর্যন্ত শুধু ছয় লেনে উন্নত করলে যানজট মুক্ত হবে না। এই জায়গাটাতে ভবিষ্যৎতের কথা চিন্তা করে প্রস্তাবিত জায়গার আরো বেশি জায়গা অধিগ্রহণ করে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে একটি মাস্টার প্ল্যান রিপোর্ট পেশ করা। তখন সরকার জানতে পারলে এবং সেটা বাস্তবায়িত হলে তাহলে আনোয়ারাবাসীসহ এই সড়ক দিয়ে সকল যাত্রী যানজট মুক্ত যাতায়াত করতে পারবে।

 

এ ব্যাপারে দোহাজারী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী সুমন সিংহ জানান, টানেল থেকে উঠে গাড়ীগুলো শহর দিকে ৩শ মিটারের একটা ইউটার্ন করে দেওয়া হবে ইউটার্ন দিয়ে ঘুরে আসলে আশাকরি যানজট হবে না।

 

একুশে সংবাদ/এস.এম সা/এসএপি

Link copied!