AB Bank
  • ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই, ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

এমপি আনার খুন: ফ্ল্যাটের সবাই ভারত ছেড়েছে


Ekushey Sangbad
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০১:২৩ পিএম, ২২ মে, ২০২৪

এমপি আনার খুন: ফ্ল্যাটের সবাই ভারত ছেড়েছে

ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির পুলিশ। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার (২২ মে) সকালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধাননগরের নিউটাউন এলাকায় সঞ্জিভা গার্ডেন থেকে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। স্থানীয় পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, আনোয়ারুল আজিম যেদিন নিখোঁজ হন, সেই দিনই তাকে খুন করা হয়। হত্যার পর তার মরদেহ গুম করার চেষ্টা করা হয়। তার মোবাইল লোকেশন পরিবর্তন করে বিভ্রান্ত করা হয়।

পুলিশের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম কলকাতা২৪ জানিয়েছে, আনারের শেষ মোবাইল লোকেশন মিলেছিল বিহারে। গত ১৪ মে থেকে তার ফোন বন্ধ হয়ে যায়। গত আট দিন ধরে নিখোঁজ থাকলেও তার ফোন থেকে পরিবারের সদস্যদের কাছে মেসেজ পাঠানো হয় যে তিনি নয়াদিল্লি চলে গেছেন।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৩ মে নিউটাউনের একটি বাড়িতে যান এমপি আনার। সেই বাড়িতেই খুন করা হয় তাকে।

পুলিশের বরাতে তারা জানায়, নিউটাউনে যে বাড়িতে আনোয়ারুল আজিম গিয়েছিলেন সেটা একজন এক্সাইজ অফিসারের। ভাড়া নেয়া বাড়িতে খুন করা হয় এমপি আনারকে। খুনের দিন এই বাড়িতে নারীসহ একাধিক লোকজন ছিলেন। কিন্তু আনারের রহস্যজনক মৃত্যুর পর সবাই ভারত থেকে পালিয়ে গেছেন।

এর আগে গত ১২ মে এমপি আজিম চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। ওই দিন সকালে নিজের গাড়িতে তিনি একাই দর্শনার উদ্দেশ্যে রওনা হন। বেলা ১১টার দিকে তিনি দর্শনা চেকপোস্ট পার হয়ে ভারতের গেদে স্টেশনে প্রবেশ করেন। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে অল্প সময়ের মধ্যে ওপারের একটি ইঞ্জিনচালিত রিকশায় রওনা হন। এ সময় তার সঙ্গে একটি লাগেজ ছিল। তিনি চলে যাওয়ার পর চালক তরিকুল ইসলাম গাড়ি নিয়ে কালীগঞ্জে ফেরেন।

এরপর ১৮ মে কলকাতার বরাহনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন গোপাল বিশ্বাস নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি। তিনি মূলত স্বর্ণ কারবারি। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, আজিমের সঙ্গে তার ২৫ বছরের পারিবারিক সম্পর্ক। ১২ মে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আজিম তার কলকাতার মণ্ডলপাড়া লেনের বাড়িতে আসেন। তিনি কলকাতায় এসেছেন ডাক্তার দেখাতে। পরদিন দুপুর পৌনে ২টার দিকে ডাক্তার দেখানোর জন্য সেখান থেকে বের হন আজিম। যাওয়ার সময় বলে যান, দুপুরে খাবেন না। সন্ধ্যায় ফিরবেন। পরে তিনি কলকাতা পাবলিক স্কুলের সামনে এসে গাড়ি ডেকে দিয়ে চলে যান।

জিডির তথ্যানুযায়ী, সন্ধ্যায় গোপালের বাসায় ফেরেননি আনোয়ারুল আজিম। হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে গোপালকে একটি বার্তা পাঠিয়ে জানানো হয়, বিশেষ কাজে তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। ১৫ মে তার নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে আরেকটি বার্তা আসে। তাতে তিনি দিল্লি পৌঁছার কথা জানিয়ে বলেন, ‘আমার সঙ্গে ভিআইপিরা আছেন, ফোন করার দরকার নেই।’

 

একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা

 

Link copied!