AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

রঙ-বেরঙের বেলুন বিক্রি করে স্বাবলম্বী  আউয়াল হোসেন


রঙ-বেরঙের বেলুন বিক্রি করে স্বাবলম্বী  আউয়াল হোসেন

গ্যাসভর্তি উড়ন্ত বেলুন বিক্রি করে আউয়াল হোসেন এখন স্বাবলম্বী। ১২ বছর ধরে বেলুন বিক্রি করছেন তিনি। দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় জনবহুল স্থানে ঘুরে ফিরে বেলুন বিক্রি করেন তিনি। এই আয় দিয়েই ফিরেছে তার সংসারে স্বচ্ছলতা। 

প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০টি বেলুন বিক্রি হয়ে থাকে। প্রতিটি বেলুন ৫০ টাকা করে বিক্রি হয়। প্রতিমাসে আউয়াল হোসেনের আয় প্রায় ৬০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা।বছরে তার আয় প্রায় ৮ লাখ টাকা।বেলুন বিক্রি করে এখন তিনি স্বাবলম্বী।

বেলুন বিক্রির এই আয় দিয়েই চলছে স্ত্রী, ১মেয়ে ও মা নিয়ে তার চার সদস্যের সংসার। সুখেই আছেন তিনি বেলুন বিক্রি করে।

বেলুন বিক্রেতা আউয়াল হোসেনের বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার রশিদাবাদ ইউনিয়নের সগ্রা গ্রামে। বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহের নান্দাইলের বিভিন্ন হাটবাজারে বেলুন বিক্রি করছেন।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল )দুপুরে নান্দাইল পুরাতন বাজারে দেখা হয় আউয়াল হোসেনের সাথে। বাজারে তিনি হেঁটে হেঁটে রংবেরংয়ের গ্যাস বেলুন বিক্রি করছেন। দলবেঁধে ছোট শিশুরা রঙিন বেলুন কিনছে। তার এই খেলনা গ্যাসবেলুনগুলো ছোট বাচ্চাদের অনেক প্রিয়।

আউয়াল হোসেন জানান তিনি  ২০১০ সালে এস এস সি পাশ করে অভাবের সংসারে হাল ধরতে ২০১১ সালে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকুরি নেন।৬ মাস চাকুরি করার পর চলে আসেন বাড়িতে।

২০১২ সালে ৫ হাজার টাকা মাসিক বেতন চুক্তিতে মহাজনের বেলুন বিক্রির চাকুরি নেন। অল্প বেতনে সংসার চলেনা। তাই তিনি ২০১৯ সালে নিজেই শুরু করেন বেলুন বিক্রির পেশা।

বর্তমানে আউয়াল হোসেনের অধীনে ৫ জন কর্মচারী কাজ করছেন। প্রতিদিন তারা ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার বেলুন বিক্রি করছেন।মাসে তাদের বেলুন বিক্রি হচ্ছে ৩ লাখ টাকার উপরে। বছরে প্রায় ৩৬ লাখ টাকা।

ফুলানো বেলুন বাতাসের সঙ্গে দুলতে থাকে। বেলুনের এক মাথায় সুতো দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। আর রঙ- বেরঙের এই বেলুন নিয়েই বেরিয়ে পড়েন আউয়াল হোসেন।

বিভিন্ন রঙ-বেরঙের বেলুন দেখে আকৃষ্ট হয় শিশুরা। অভিভাবকরাও শিশুদের আনন্দ দিতে বেলুন কিনে দেন। সব শ্রেণীর শিশুদের বেলুন খুবই প্রিয়। আর সেই বেলুন বিক্রি করেই চলে বেলুন বিক্রেতা আউয়াল হোসেনের সংসার।

হাতি, ঘোড়া, জেব্রা, ডলফিন মাছ, কুমির,বিমান, পাখি, ফুল ও উড়োজাহাজসহ নানা পশু পাখির অবয়বে তৈরি হয় বেলুন। গ্যাস দিয়ে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে বেলুনকে পশু-পাখি ও জলজ প্রাণীর মতো নানা আকৃতিতে পরিণত করা হয়।

সারা বছর চলে তার এই বেলুন বেচার ব্যবসা। তবে ঈদ আর পুজায় ভালো হয় বেলুন বিক্রি। গ্যাসবেলুন বিক্রির আয় থেকেই চলে তার সংসার।

আউয়াল হোসেন থাকেন গফরগাঁওয়ে ভাড়া বাসায়। তার দলে রয়েছে ৫ জন।খালি বেলুন কিনে গ্যাস ভর্তি করে প্রতিদিন সকালে বের হয়ে যান তারা। সারাদিন ঘুরে ঘুরে ফেরি করে বিভিন্ন হাটবাজারে,রাস্তার মোড়ে,স্কুল- কলেজের সম্মুখে তিনি বেলুন বিক্রি করেন।কোন অনুষ্ঠান বা সভা-সেমিনারে বেলুন বিক্রি হয় বেশী। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা আকৃষ্ট হয় নানা রঙের ও নানা ডিজাইনের বেলুন দেখে।আর শিশুদেরই বেশী প্রিয় এই বেলুন।

আউয়াল হোসেন জানান, সারা বছর চলে তার এই বেলুন বেচার ব্যবসা। তবে ঈদ আর পুজায় ভালো হয় বেলুন বিক্রি। গ্যাসবেলুন বিক্রির আয় থেকেই চলে তার সংসার।প্রতি তিন বা ছয়মাস পরপর তারা বাড়িতে যান। পরিবার ও স্বজনের সাথে সাক্ষাত শেষে আবার বেরিয়ে পড়েন নতুন কোন স্থানে বেলুন বিক্রির উদ্দেশ্যে।

আউয়াল হোসেন বলেন, প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০টি বেলুন বিক্রি হয়ে থাকে। তাতে প্রতিদিন ২ থেকে আড়াই হাজার টাকার বেলুন বিক্রি হয়।

নান্দাইল পৌরসভার বাসিন্দা রত্না বলেন, আমার ছেলের আব্দার তাকে বেলুন কিনে দিতে হবে।তার আব্দার মেটাতে একটি বেলুন কিনে দিয়েছি।

নার্সারি শ্রেণীর ছাত্রী মেঘলা জানায়, আমার পছন্দের বেলুন কিনেছি।অনেক আনন্দ  লাগছে।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!