আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলগুলো ইচ্ছা হলে প্রার্থীদের মনোনয়ন দিতেও পারে, না-ও দিতে পারে এতে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, কোনো দল যদি কাউকে মনোনয়ন দিয়ে প্রতীক দেয়, সেখানে নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হবে। এছাড়া আরও বিকল্প আছে। কেউ কেউ স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে পারে। আমি আইনটি পড়েছি, আইনটি ঠিক আছে।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বিভাগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন কথা জানান তিনি।
সোমবার ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। আইন থাকার পরও এটা সম্ভব কি না এমন প্রশ্নে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আইনটা যেভাবে করা আছে, তাতে দলীয় প্রতীকেও নির্বাচন হতে পারে, দলীয় প্রতীক ছাড়াও হতে পারে।’
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যদি মনে করে তারা দলীয় মনোনয়ন দেবে, সেক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু দল যদি মনে করে মনোয়ন দেবে না বা কোথাও কোথাও দেবে, সেক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ রয়েছে।’
আইন সংশোধনের কোনো প্রয়োজন নেই জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আইন সংশোধনের কোনো দরকার পড়বে না।’
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না দেয়ার ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অর্থাৎ কাউকে নৌকা প্রতীক দেয়া হবে না। এ ক্ষেত্রে দলের যে কেউ অনেকটা স্বতন্ত্র প্রার্থীর মতো ভোট করতে পারবেন। দলের নেতাকর্মীরাও যার যার পছন্দমতো প্রার্থীর পক্ষে ভোট করতে পারবেন।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্র জানিয়েছে, উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকবে কি না, এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে বিএনপিসহ বিরোধী দল স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও দলীয়ভাবে অংশ নেবে না বলে ধারণা করা যায়। এ পরিস্থিতিতে দলীয় মনোনয়ন দেয়া, না দেয়া খুব বেশি গুরুত্ব বহন করে না। বরং একজনকে প্রতীক দিলে অন্যরা বিরোধিতায় নামেন। এতে দলে বিভেদ বাড়ে।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :