কক্সবাজার জেলায় শেষ হওয়া ১৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৪টি নতুন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (১১ নভেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টা নাগাদ তিনি এগুলোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এরপর তিনি মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র-সংলগ্ন টাউনশিপ মাঠে মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দিয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন।
রেলস্টেশন চত্বরে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের রেল চলাচলের উদ্বোধন ও সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা। এরপর টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে রামুর পথে যাত্রা করেন তিনি। রামু থেকে হেলিকপ্টার যোগে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনার আগমনে সাজ সাজ রব সমুদ্রের কোলঘেঁষা প্রত্যন্ত জনপদ মাতারবাড়ি। সেখানে এক জনপদের বদলে যাওয়ার সাক্ষী সাগরপাড়ের অগণিত মানুষের দলে দলে যাত্রা। প্রধানমন্ত্রীর আগমন আর জনসভা কেন্দ্র করে সকাল থেকে জনতার স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি।
উপচেপড়া আবেগের বহিঃপ্রকাশ জনসভা মাঠে মানুষের বাঁধভাঙ্গা প্রবেশ। নজিরবিহীন গণজমায়েতে পূর্ণ মাতারবাড়ি টাউনশিপ মাঠ। দীর্ঘ প্রায় তিন দশক পর মাতারবাড়ি আসা শেখ হাসিনাকে বরণ করে নেন সব শ্রেণিপেশা আর বয়সি মানুষ। তারা বলছেন, ১৯৯৫ সালে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন মাতারবাড়িবাসীকে, তা বাস্তব করেন সরকারপ্রধান হিসেবে।
মাতারবাড়িতে বিদ্যুৎ-জ্বালানির পরিকল্পিত হাব, অর্থনীতির গেমচেঞ্জার গভীর সমুদ্রবন্দরসহ সরকারের দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপের সুফল তুলে ধরে আসছে নির্বাচনে ব্যালটে তার প্রতিদান দেয়ার কথা জানান মাতারবাড়িবাসী।
একুশে সংবাদ/ঢ.প.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :