ঢাকার অদূরে রূপগঞ্জ উপজেলার আউখাবো এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ মেয়ের পর মৃত্যুর তালিকায় নাম ওঠলো বাবা আলী আহমেদের। তিনি বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এর আগে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ আইসিইউতে আলী আহমেদের মেয়ে শাহেরা আক্তারের (২৪) মৃত্যু হয়। বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রথমে মৃত্যু হয় মো. সোনা মিয়ার। এখনও দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হলো।
এর আগে গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের আউখাবো বাজার এলাকার এক বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের দুর্ঘটনা ঘটে। তাতে একই পরিবারের সোনা উদ্দিন (৪৫), আলি আহমেদ (৬৫), হাসুন বানু (৫৫), সাহেরা বেগম (২৪) ও ওমর ফারুক (১৫) সদস্য দগ্ধ হন।
আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা দগ্ধ হাসুন বানুর ভাতিজা মো: নূরে আলম বলেন, রূপগঞ্জের বাড়ির নিচতলায় তারা ভাড়া থাকেন। হাসুন বানু গৃহিণী, স্বামী ও ভাই গাউছিয়া বাজারে শুটকির দোকানে কাজ করে। মেয়ে সাহারা প্রতিবন্ধী এবং ছেলে ওমর ফারুক স্থানীয় অনুপম গার্মেন্টসে চাকরি করেন।
জানা গেছে, দগ্ধদের মধ্যে সোনা উদ্দিনের শরীরের ৯৪ শতাংশ, আলি আহমেদের শরীরের ৫৮ শতাংশ, হাসুন বানুর শরীরের ৪৬ শতাংশ, সাহেরা বেগমের শরীরের ৩০ শতাংশ ও ওমর ফারুকের শরীরের ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। আহতদের মধ্যে ওমর ফারুক বাদে বাকি চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
একুশে সংবাদ/এএইচবি/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :