সাহিত্যিক ‘জরাসন্ধ’। আসল নাম চারুচন্দ্র চক্রবর্তী। তৎকালীন পূর্ব বাংলা বর্তমানে বাংলাদেশের ফরিদপুরে জন্ম নেয়া এক ক্ষণজন্মা কৃতি সন্তান। কিন্তু বাংলাদেশের পাঠক সমাজের কাছে জরাসন্ধের সাহিত্য যতটা উজ্জ্বল, তার ব্যক্তি পরিচয় ততটাই অন্ধকারে।
তিরিশ বছর ভারতের নানা জেলে চাকরি করার পর, আলীপুর জেলের সুপারিন্টেনডেন্ট হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। এই সময়ে বিভিন্ন জেলের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কয়েদীদের জীবনাচরণ তিনি অত্যন্ত গভীর ভাবে উপলব্ধি করেন। সাহিত্যিক “জরাসন্ধ” তার কর্মজীবনকে সাহিত্যের পাতায় তুলে এনেছিলেন অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে। বাংলা সাহিত্যের আর কোন লেখকের লেখায় তার নিজের কর্মজীবনের চালচিত্র এমন প্রত্যক্ষ ভাবে সাহিত্যে উঠে আসেনি।
কারাজীবনের নির্মম ও অমানবিক পরিপ্রেক্ষিত নিয়ে চারুচন্দ্র চক্রবর্তী ‘জরাসন্ধ’ ছদ্মনামে আলীপুর সেন্ট্রাল জেলের জেলার থাকাকালে চারখণ্ডের বিখ্যাত উপন্যাস ‘লৌহ কপাট’ (১৯৫২) লিখে বাংলা কথা সাহিত্যে সুবিশাল পরিচিতি নিয়ে বিখ্যাতও হন। তার উপন্যাস নিয়ে বাংলা এবং হিন্দিতে বহু চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।
জরাসন্ধের ‘লৌহকপাট’ এর আখ্যানভাগ অবলম্বনে বাংলাদেশে পরিচালক খান আতা তৈরি করেন ‘দিন যায়, কথা থাকে’।
একুশে সংবাদ.কম/ড.ব/বি.এস



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

