মানুষের শরীরের লোম দাঁড়ায় কেন?

সাধারণ কথায়-আমরা যখন ভয় পাই বা উত্তেজনায় থাকি অথবা শীত লাগে, তখন শরীরের লোমগুলো দাঁড়িয়ে যায়। গায়ের লোমের গোড়ায় খুব সূক্ষ্ম পেশিতন্তু থাকে। বাইরের ঠান্ডা বাতাস বা মনের আবেগ-উত্তেজনায় পেশিতন্তুগুলো সংকুচিত হয়। ফলে লোমগুলো দাঁড়িয়ে যায়।

শরীরের অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি থেকে অ্যাড্রিনালিন হরমোন নিঃসরণের ফলে ‘গুজবাম্পস’ হয়। আমরা যখন কোনো গান শুনি, মুভি দেখি, গন্ধ নিই, স্বাদ গ্রহণ করি, যৌন উত্তেজনায়, রোমান্টিক মুহূর্তে, শীতল অনুভবে, শারীরিক পরিশ্রম কিংবা মলত্যাগ করা, দুঃখ, ভয় কিংবা আনন্দদায়ক ঘটনা শুনি, পড়ি অথবা বাস্তবে সেগুলোর সম্মুখীন হওয়ার ফলে সৃষ্ট মানসিক চাপ ইত্যাদি বাহ্যিক ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়ার হিসেবে আমাদের দেহে কখনো কখনো অ্যাড্রেনালিন হরমোন নিঃসৃত হয়। যাতে আমরা সেই আবেগপ্রবণ বিষয়গুলো থেকে বের হয়ে পুনরায় স্বাভাবিক হতে পারি।

এবার এই হরমোন নিঃসরণের ফলে ত্বকের নিচের প্রতিটি লোমকূপের সাথে সংযুক্ত ইরেক্টোরেস পিলোরাম (Erectores pilorum) নামক পেশি তন্তুতে স্নায়ু সংকেত প্রবাহিত হলে লোমের গোড়ার দিক সংকোচিত হয় এবং এতে লোমগুলো দাঁড়িয়ে যায়। যাকে খাঁটি বাংলায় বলি শরীরে কাঁটা দিয়ে ওঠা।

এই লোম দাঁড়ানোকে ‘গুজবাম্পস’ বলা হয়। “হাঁসের পালক ছাড়ানোর পরে দেখা যায় ত্বকের উপর ছোট ছোট খোঁচা খোঁচা অংশ দেখা যায়। আমাদের শরীরের লোম দাঁড়িয়ে গেলেও এমন দেখায়- তাই এই অবস্থার নাম ‘গুজবাম্পস’। যাকে শুদ্ধ বাংলায় বলে হংসীত্বক।
একুশে সংবাদ/ এসএডি



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

