ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। দেশটিতে এবার ভোটার সংখ্যা ৯৬ কোটি ৯০ লক্ষ। এরমধ্যে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী ভোটারের সংখ্যা ১৯ কোটি ৭৪ লাখ। সব মিলিয়ে তরুণ ভোটারদের সংখ্যা প্রায় ২১ কোটি। একইসঙ্গে শতবর্ষী বা প্রবীণ ভোটারের সংখ্যাও আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় নজর কাড়ছে। দুই প্রজন্মের ভোটাররা নির্বাচন নিয়ে বলছেন তাদের আশা-নিরাশার কথা। তবে ৪৭ দিন জুড়ে চলা ভোট উৎসব শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ করাটাও বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
ভারতের ১ কোটি ৮০ লাখ ভোটার এবার প্রথম ভোট দিয়ে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের ইতিহাস শুরু করবেন। দেশটির প্রধান রাজনৈতিক দল বিজেপি থেকে কংগ্রেস কিংবা প্রাদেশিক তৃণমূল কংগ্রেসের মতো দল তরুণ সমাজের ভোট টানতে নানামুখী নির্বাচনী ইশতেহারও প্রকাশ করেছে। তবুও এই অংশের ভোটাদের মধ্যে রয়েছে চাপা ক্ষোভ; আবার আশাও দেখছেন কেউ কেউ।
ভারতে এবার শতবর্ষী ভোটারেরও রেকর্ড হচ্ছে। বয়স একশ বছরের বেশি, এমন ২ লাখ ১৮ হাজার ভোটার এবারও তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন। শুধু তাই নয়, ৮৫ বছরের বেশি বয়স্কদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট সংগ্রহ করার মতো উদ্যোগও নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রবীণ ভোটাদের মন জয়ের চেষ্টা থাকলেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রকৃত পদপেক্ষ নেয়া, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে লাগাম টানা এবং মানবিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা না নেয়ার মতো ঘটনায় প্রবীণ থেকে মধ্যবয়সী ভোটাররা আবার বেশ কিছুটা বিভ্রান্ত।
কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর বললেন, ‘এটাও বাস্তবতা যে, অভ্যন্তরীণ নানা সমস্যা থাকলেও ভূরাজনীতির কারণে গোটা পৃথিবীতেই এখন ভারতের একটা দৃঢ় ও শক্তিশালী ভূমিকা রয়েছে। আর সেটা আরও সুদৃঢ় হবে এই নির্বাচন উৎসবের মধ্য দিয়ে।’
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে শুরু হওয়া ভারতের ভোট উৎসবে সাত দফার ভোট নেয়া হবে। আগামী ৪ জুন হবে ফল প্রকাশ।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :