পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান এবং তার দলের নেতা শাহ মাহমুদ কুরেরিকে স্নাইপার মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে পিটিআইয়ের এই দুই নেতার উপস্থিতিতে বিশেষ আদালতের বিচারক আবুল হাসনাত জুলকারনাইন এ রায় ঘোষণা করেন। খবর জিও নিউজ
বিচারক আবুল হাসনাত গত বছর থেকেই এ মামলার শুনানি করছেন।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মাত্র এক সপ্তাহ আগে এ রায় দিলো আদালত।
শুনানির শুরুতে ইমরান ও কুরেশিকে পাকিস্তানি পেনাল কোডের ৩৪২ ধারা অনুসারে একটি প্রশ্নপত্র দেয়া হয়।
ইমরান খানের বিবৃতি রেকর্ড করার পর আদালত তাকে সাইফারের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি এর আগেও এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি, আমি জানি না। সাইফার আমার অফিসে আছে।’
এরপরে বিচারক তাদের দুজনের ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন। রায় দেয়ার পরপরই বিচারক কোর্টরুম থেকে বেরিয়ে যান। এদিকে কুরেশি অভিযোগ করেছেন, তার বিবৃতি রেকর্ড করা হয়নি।
গেল বছরের ২৩ অক্টোবর পাকিস্তানের বিশেষ আদালতে পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কুরেশিকে রাষ্ট্রীয়ে গোপন নথি ফাঁসের মামলায় অভিযুক্ত করা হয়।
জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে এই মামলার শুনানি হয়। সিআরপিসি ২৬৫-ডি-এর আওতায় এই দুই নেতার মামলা বন্ধের আবেদনের পরই তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।
ক্ষমতা থেকে উৎখাতের প্রমাণ হিসেবে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান একটি তারবার্তা ফাঁস করতে চেয়েছিলেন বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা বলছে, ওই তারবার্তার মাধ্যমে ইমরান প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন, পাকিস্তানের ক্ষমতাধর সেনাবাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ইমরানের ওই দাবি নাকচ করে দিয়েছে।
একুশে সংবাদ/ন.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :