AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বাল্যবিয়ে মুক্ত সমাজ গঠনে সরকার বদ্ধ পরিকর


Ekushey Sangbad
সালমা আফরোজ
০৪:১৮ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪
বাল্যবিয়ে মুক্ত সমাজ গঠনে সরকার বদ্ধ পরিকর

বাল্যবিয়ে একটি সামাজিক অভিশাপ। বাল্যবিয়ের প্রবণতা শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে বেশি। গ্রামাঞ্চলে মেয়েরা রজঃশীলা হওয়ার আগেই তাদের অনেককেই বিয়ে দেয়া হয়। যাদের বেশির ভাগেরই বয়স ১৮ বছরের নিচে। ১৯২৯ সালে প্রথম বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ আইন প্রণোয়ন করা হয়। উল্লিখিত বয়স পূর্ণ হওয়ার আগেই ব্যবস্থাপনার দায়ে ব্যবস্থাপকদের এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকার অর্থদণ্ডের বিধান ছিল। কিন্তু তার বাস্তব প্রয়োগ না থাকায় বাল্যবিয়ে বন্ধ হয়নি।  

‘বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা-২০১৮’তে বলা হয়, সরকার কিংবা শুধু আইন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দ্বারা বাল্যবিয়ে রোধ করা সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে বর্তমান সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ১৫ বছরের নিচে বিবাহের সংখ্যা শূন্যে এবং ২০৩৫ সালের মধ্যে ১৮ বছরের নিচে বিয়ের সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনার অভিপ্রায় প্রকাশ করেছে। 

দেশের অর্ধেকের বেশি নারীর বিয়ে ১৮ বছর বয়সের আগে হচ্ছে বলেছেন নারী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি। জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাল্টিপল ইনডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে ২০১৯ অনুযায়ী, ১৫ বছরের কম বয়সীদের বাল্যবিবাহের হার ১৫ দশমিক পাঁচ শতাংশ এবং ১৮ বছরের কম বয়সীদের বাল্যবিবাহের হার ৫১ দশমিক চার শতাংশ। প্রতিমন্ত্রী সংসদে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ১৭টি পদক্ষেপের বিষয়ে তুলে ধরেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে সিমিন হোসেন বলেন, ৬৪ জেলায় বাল্যবিবাহ রোধে মনিটরিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জেলা ও উপজেলার মাঠপর্যায় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সাল থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত মোট ১২ হাজার ১৫০টি বাল্যবিয়ে রোধ করা হয়েছে।

নারীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নীনা গোস্বামী বলছেন, বাল্যবিয়ে রোধের যেটুকু অগ্রগতি হয়েছে সেটাও সম্ভব হয়েছে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর দীর্ঘদিনের তৎপরতার কারণে।

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার পুর্ব বশিকপুর গ্রামে একটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দিল ‘৯৯৯’। ফেনী থানার ওসিকে ‘৯৯৯’ থেকে সংবাদদাতা তার পরিচয় গোপন রেখে বাল্যবিয়ের খবরটি জানান। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি পুলিশের দল নিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন। 
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ক্ষিদ্রগোপরেখী গ্রামে ১০ম শ্রেণির ছাত্রীকে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান।

নরসিংদীতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পৃথকভাবে দুই শিশু বাল্যবিয়ে থেকে মুক্তি পেয়েছে। জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইনের নির্দেশনায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাখাওয়াত জামিল সৈকত উপস্থিত হয়ে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ অনুযায়ী ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এ বিয়ে বন্ধ করেন। তিনি জানান, প্রশাসনের কঠোর নজরদারি আর আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কারণে বাল্যবিয়ের হার কমে গেছে। 

মানিকগঞ্জের ১৫ বছর বয়সের মেয়ে তার বিয়ের দিনও ছুটে বেড়াচ্ছিল পড়শিদের বাড়ি বাড়ি। সেখান থেকেই ধরে এনে বিয়ের পিড়িতে বসানো হয় তাকে। তারপর উপজেলা প্রশাসনের সাহায্যে তার বিয়ে বন্ধ করা হয়। জন্ম নিবন্ধন সনদ, স্কুলের ছাড়পত্র বা জাতীয় পরিচয়পত্র বয়সের প্রমাণ হিসেবে কাজ করে। বেশিরভাগ সময়ই সন্তানকে বাল্যবিয়ে দিতে পরিবারের সদস্যরা এসব নিয়ে জালিয়াতি করে। এই মেয়ের ব্যাপারেও তাই হয়।

পরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে এসব কনের বাবাদের কাছ থেকে কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না মর্মে মুচলেকাও নেয়া হয়। এভাবেই প্রতিদিন জেলায় জেলায় প্রশাসনের মাধ্যমে হাজারো শিশুর বালবিয়ে বন্ধ হচ্ছে।

এদিকে নোয়াখালীর মেয়ে খাদিজা দাদীর কাছে থাকে কারন তার মা মারা গেছেন। বাবা বিয়ে করে নতুন মা’কে নিয়ে ঢাকায় থাকেন। খাদিজা যখন ক্লাস নাইনে পড়ে তখন দাদী তার বিয়ে ঠিক করেন। ও রাজি না, তার বাবা রাজি না, আত্নীয়স্বজন অনেকেই রাজি না। কিন্তু দাদী খাদিজার বিয়ে দিবেনই। তিনি জানেন, তিনি চোখ বুজলেই খাদিজাকে দেখার কেউ নাই। তার বাবা না করছেন কিন্তু বলছেন না তাকে নিয়ে ঢাকায় স্কুলে ভর্তি করাবেন। তাই কোন এক শুক্রবারে হয়ে গেল খাদিজার বিয়ে ঢাকায় চাকরি করা বয়স্ক এক পাত্রের সাথে।

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, কর্মস্থলে যোগদানের এক বছরের মধ্যে ৩০টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন। বাল্যবিবাহ বন্ধে উপজেলা প্রশাসন থেকে নিয়মিত নানা ধরনের কার্যক্রম নেওয়া হয়। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও তথ্য অফিসের মাধ্যমে আমরা নিয়মিত উঠান বৈঠক করে থাকি। এছাড়াও আমাদের উপজেলায় বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ বিষয়ক একটি কমিটি আছে, এই কমিটি নিয়মিত সভার আয়োজন করে।

তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সচেতন করি, যাতে কোনো মেয়ে বাল্যবিয়ের শিকার না হয়। পাশাপাশি উপজেলায় বিভিন্ন ধরনের মিটিং হয়, সেখানে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষক, প্রতিনিধি ও অভিভাবকের সমাগম হয়। এই মিটিংয়ে আমরা সবাইকে সচেতন করি, যাতে কোনো বাল্যবিয়ে না হয়। বাল্যবিয়ের খবর পেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসি। এভাবেই আমরা আমাদের উপজেলায় বাল্যবিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি।

নাজমুল আলম বলেন, বাল্যবিয়ের অনেকগুলো কারণ আছে। যেটা স্থান ও এলাকা ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, ডোমার উপজেলায় বাল্যবিয়ের গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলোর মধ্যে প্রথমেই বলা যায় কুসংস্কার, শিক্ষার অভাব, আর্থিক অসচ্ছলতা ও মেয়েদের নিরাপত্তাহীনতা। এ বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি।

নাজমুল আলম বলেন, এই উপজেলায় এসে এক বছরে প্রায় ৩০টা বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে গেলে এলাকাবাসী ও সুশীল সমাজ আমাদের স্বাগত জানায়। কিন্তু মেয়েপক্ষ ও বরপক্ষ আমাদের বাধা দেয় এবং নানান নেতিবাচক কথায় ছড়ায়। তিনি আরো বলেন, বাল্যবিবাহ থেকে যে সব মেয়ে মুক্তি পেয়েছে, তাদের পড়াশোনা এবং চাকরি ক্ষেত্রে সর্বাধিকার নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি। এছাড়াও আমাদের এইখানে মেয়েদের পড়াশোনা নিয়ে কাজ করে এমন এনজিও আছে, তাদের সঙ্গে বাল্যবিয়ে থেকে মুক্তি পাওয়া মেয়েদের যুক্ত করিয়ে দিচ্ছি। এই মেয়েদের বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণও দেওয়া হয়। এছাড়া স্কুলে যেন কোনো ধরনের খরচ নেওয়া না হয়, সেটাও আমরা নিশ্চিত করছি। আমরা আশা করছি, বাল্যবিবাহ থেকে ফিরে আসা মেয়েরা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে এবং দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

বাল্যবিয়ে রোধে শিশু অধিকার ও উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে প্রতিষ্ঠান প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল। একটি মোবাইল অ্যাপ চালুর ঘোষণা দিয়েছে তারা। এ অ্যাপ ১৮ বছর বয়স হয়নি এমন মেয়েদের বিয়ে বন্ধ করতে ‘বিশেষ প্রভাব’ রাখবে বলে তারা আশা করছে। নতুন মোবাইল অ্যাপটি বিয়ে নিবন্ধনের সাথে জড়িত ঘটক, কাজী, ধর্মীয় এবং আইনি ব্যক্তিদের ডিজিটাল ডাটাবেজের সহায়তা দেবে। প্ল্যান বাংলাদেশের পরিচালক সৌম্য গুহ বলেন, বিয়ের প্রক্রিয়ার সাথে প্রাথমিকভাবে জড়িতদের যদি প্রথমেই তথ্য জানানোর ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে কেউই কম বয়সে বিয়েকে আইনিসিদ্ধ বা নিবন্ধনের সাথে যুক্ত হবেন না। পরীক্ষামূলকভাবে চালুর পর ৬ মাসে এ অ্যাপ দিয়ে ৩ হাজার ৭৫০ বাল্যবিবাহ রোধ করা গেছে দাবি করেন সৌম্য গুহ।

অ্যাপটি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ডিরেক্টর জেনারেল মুহাম্মদ আব্দুল হালিম জানান, তিনি মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাল্যবিয়ে বন্ধের যে ঘোষণা দিয়েছেন, এ অ্যাপটি তাতে সহযোগিতামূলক ভূমিকা রাখবে।

জাতিসংঘ বলছে, সারাবিশ্বে বাল্যবিয়ের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমছে। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ তার এক প্রতিবেদনে বলছে, গত এক দশকে সারা পৃথিবীতে আড়াই কোটি বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। বাল্যবিয়ের হার বাংলাদেশেও খুব বেশি ছিল, সর্বশেষ ২০১১ সালের জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশে ৫২ শতাংশ মেয়ে বাল্যবিয়ের শিকার হতো। কিন্তু বর্তমানে বাল্যবিয়ের সংখ্যা কমেছে। ঢাকায় ইউনিসেফ কর্মকর্তা সোনিয়া সরদার জানান, নতুন রিপোর্টে তারা দেখছেন বাংলাদেশেও বাল্যবিয়ের হার কমছে। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জে এক ধরনের উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। অল্পবয়সী মেয়েরাও এখন তাদের বিয়ে প্রতিরোধে এগিয়ে আসছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং কমিউনিটিতে যেসব সংগঠন কাজ করে তারাও এগিয়ে এসেছে বলে তিনি জানান।

সাধারণত দেখা যায় বেশিভাব অশিক্ষিত পরিবারে কন্যাসন্তানকে বোঝা মনে করা হয়। এই সমস্যা দূর করতেই বাবা মা মেয়েদের অল্প বয়সেই বিয়ে দিয়ে দেন। তাই অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ায় মেয়েরা পড়াশোনা করা সুযোগ পায় না। প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান না থাকায় বিবাহিত কিশোরীরা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি মানসিক সমস্যায়ও ভুগে। কিশোরী বয়সে বিয়ে হওয়ার কারণে ভবিষ্যতে এসব নারী মানসিক, শারীরিক ও যৌনজীবনে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তারা পরবর্তীতে জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে না। এতে দেখা যায় দেশ ও জাতি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাই পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র সবাইকে এক হয়ে বাল্যবিয়ে রোধ করতে হবে। সমাজ থেকে অজ্ঞতা ও কুসংস্কার দুর করতে হবে। একটি মেয়ে তার স্কুলজীবন পেরোনোর আগেই বউ হচ্ছে, মা হচ্ছে। জীবন সম্পর্কে যার কোন ধারণাই নাই সে সংসার-জীবনে প্রবেশ করে সকাল থেকে রাত শ্রম দিয়ে যাচ্ছে। অথচ সমাজের অন্য মেয়েদের মতো শিক্ষিত, স্বাবলম্বী কিংবা সুন্দর জীবনযাপনের অধিকারী সেও হতে পারে। বাল্যবিয়ে রোধেই সম্ভব হবে অপরিণত গর্ভধারণ ও অকালমাতৃত্ব।

সামাজিক সচেতনতা আর সম্মিলিত প্রচেষ্টাই বাল্যবিয়ে রোধ এবং একটি শিশুকে অধিকারসচেতন নারী কিংবা দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে। ইদানীং দেখা যাচ্ছে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে নারী নিজেই সচেতন হয়ে উঠেছেন। দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় বাল্যবিয়ে রোধে কিছু কিছু সাহসী কন্যাশিশুরা এগিয়ে আসে। যখন এই শিশুরা বাবা মাকে বুঝিয়েও বিয়ে বন্ধ করতে পারে না তখন তারা প্রশাসনের সাহায্য পেতে থানায় হাজির হয়। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, অল্পবয়সী মেয়েরাই এখন তাদের বিয়ে ঠেকাতে এগিয়ে আসছে। অবশ্যই নারীদের বাল্যবিয়ে সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। আর তাহলেই এ ঘৃণ্য অভিশাপ থেকে নিশ্চিতভাবে কন্যাশিশুরা মুক্তি লাভ করবে। যখন দেশ, জাতি, রাষ্ট্র ও সমাজ এ বিষয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে, তখন বাল্যবিবাহের আড়ষ্টতা থেকে নারীরা বেরিয়ে আসবেন।

বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে অভিভাবক হিসেবে প্রতিজ্ঞা করতে হবে ১৮ বছরের আগে কোনো মেয়েকে এবং ২১ বছর বয়সের আগে কোনো ছেলেকে বিয়ে দেবেন না। ছেলেমেয়েদের বোঝাতে হবে তারা যেন প্রাপ্তবয়সের আগে তাদের পছন্দে বিয়ে না করে। সেজন্য তাদের পাশে থেকে তাদের মানসিকতা ও আত্মবিশ্বাস তৈরিতে সহায়তা করতে হবে। একটা পরিবারের বাবা মাকে প্রতিজ্ঞা করতে হবে বিয়ে নয় বরং মেয়েশিশুকে শিক্ষিত ও স্বাবলম্বী করে তুলব। মেয়েশিশু যেন পরিণত বয়সে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে সে জন্য উৎসাহিত এবং সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তবেই আমাদের দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে। শিক্ষিত মা’ই দিতে পারেন শিক্ষিত জাতি।

 

 

 

Link copied!